• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নারী সহকর্মীকে জোর করে চুমু, সাজার মুখে সেনাকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:৩১
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফাইল ছবি

উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি মিয়ানমারের পাহাড় ঘেরা দুর্গম জঙ্গলে। ভারতীয় বাহিনী একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে পাশের দেশটির সেই জঙ্গলে। তেমনই এক দুঃসাহসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসাম রাইফেলসের নর্দার্ন জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে কোহিমায় কর্মরত এক সেনাকর্তা। তবে কারোরই নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের দুর্গম জঙ্গলে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এ কর্মকর্তা। দুঃসাহসিক অভিযানে নেতৃত্ব দেয়ার সুবাদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু লঙ্ঘন করে ফেললেন সভ্যতার সীমাও। নিজ বাহিনীরই এক নারী কর্মকর্তাকে জোর করে চুমু খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেজর জেনারেল পদমর্যাদার এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাই সেই অভিযোগের কারণে মেজর জেনারেল এখন কোর্ট মার্শালের মুখে। হাতছানি দিচ্ছে বড়সড় শাস্তি।

ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াটুডে জানিয়েছে, গেরো ১৯ অক্টোবর রাতে ওই সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার এক নারী অফিসারকে নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠান। কাজ শেষ হওয়ার পর মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা নারী কর্মকর্তার কাছ থেকে চুম্বন আহ্বান করেন। এরপর নিজেই খুব কাছে চলে আসেন এবং জোর করে তার গালে ও ঠোঁটে চুমু খান। কোনোভাবে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মেজর জেনারেলের বাংলো থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন ওই নারী ক্যাপ্টেন। এরপর একাধিকবার ফোন করে এবং বার্তা পাঠিয়ে ওই ক্যাপ্টেনকে মেজর জেনারেল দেখা করতে বলেছিলেন।

আসাম রাইফেলসের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে থাকা ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে এমন অভিযোগই জানান। তার ভিত্তিতেই ঘটনার বিচার শুরু হয়েছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অভিযুক্ত মেজর জেনারেল ও তার স্ত্রী ওই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং অভিযোগ তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু অভিযোগকারী নিজের অবস্থান থেকে কিছুতেই পিছু হঠেননি।

এ ঘটনায় সরাসরি বিচার শুরু করা হয়েছে। সেনা আদালত এরমধ্যেই দু’পক্ষের বক্তব্যও শুনে নিয়েছেন এবং এখন ‘সামারি অব অ্যাভিডেন্স’ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। এ পর্যায়েই সাক্ষীদের বক্তব্য এবং অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে সেনা আদালত সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্ত দোষী কি না। যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে মেজর জেনারেলকে কোর্ট মার্শালের সম্মুখিন হতে হবে। সেই সঙ্গে চাকরি চলে যাওয়ার পাশাপাশি বড়সড় সাজাও হতে পারে তার।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh