• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মিয়ানমারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই: সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২৪
অং সান সু চির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং (ফাইল ছবি)

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং বলেছেন, তার দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই জাতিসংঘের।

এমন এক সময় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করলেন যখন দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের গণহত্যায় বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এ মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের আহ্বানের পর এই প্রথম জনসম্মুখে মন্তব্য করলেন মিন অং হ্লেইং।

মিন অং হ্লেইংকে উদ্ধৃত করে সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়াওয়াদি পত্রিকা জানায়, কোনও দেশ, সংস্থা বা গ্রুপের একটি দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পরাজয় মেনে নিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
-------------------------------------------------------

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এলো।

মিয়ানমারের রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীর দূরে থাকা উচিত জাতিসংঘের তদন্তকারীদের এমন দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন মিন অং হ্লেইং। মিয়ানমারে বর্তমানে যে বেসামরিক সরকার রয়েছে, সেখানেও বেশ প্রভাব রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিসি এক রায়ে জানায়- রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।

এর আগে আগস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানায়, গেলো বছর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানে ব্যাপকহারে হত্যা, গণধর্ষণ ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই চালানো হয়েছে। আর এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানসহ আরও ছয় সেনা কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

তবে মিয়ানমারের দাবি যেহেতু তারা আইসিসির সদস্য নয়, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের বিচারের এখতিয়ার নেই। কিন্তু আইসিসি বলছে, বাংলাদেশ তাদের সদস্য এবং রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিচার করতে পারেন।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস, পক্ষে ভোট বাংলাদেশের
হঠাৎ ২১ মর্টার শেল বিস্ফোরণ, কাঁপল টেকনাফ
গাজার ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা, জাতিসংঘের কর্মীসহ নিহত ৫
বাংলাদেশে পালিয়ে এলেন ১৭৯ বিজিপি, দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মেম্বার
X
Fresh