যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ প্রাণ নেয়া ফ্লোরেন্স এখন প্রবল বন্যার কারণ
ফ্লোরেন্সের কারণে উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছেন। এর ফলে সেখানে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবারের শুরুতে উত্তর ক্যারোলাইনার পশ্চিম দিক দিয়ে ভার্জিনিয়া ও নিউ ইংল্যান্ডের দিকে ফ্লোরেন্সের যেতে যেতে নদী, মহাসড়ক, বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়েছে ফ্লোরেন্স। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে আরও মানুষের জীবন।
এদিকে ফ্লোরেন্সের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে এদিনের শুরুতেই উইলমিংটনের উপকূলীয় শহর বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আবহাওয়াবিদ জ্যাচ টেইলর বলেন, পানিবন্দী ক্যারোলাইনাবাসীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত এটি। কারণ নদীগুলোর পানি ঐতিহাসিক মাত্রায় বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এখানকার মাটির আর বৃষ্টির পানি শোষণ করার ক্ষমতা নেই। সুতরাং পানি যেকোনও দিকে যেতে পারে। নদীগুলোর পানি সবচেয়ে উঁচু জায়গাগুলো ছাপিয়ে গেছে এবং আজ ও আগামীকালের মধ্যে আরও ওপরে উঠবে।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দুই সাংবাদিকের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে মিয়ানমারে বিক্ষোভ
------------------------------------------------------------------
জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত এই অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস, নদী প্লাবিত হওয়ার মতো ঘটনা অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হারিকেনের রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানা ফ্লোরেন্স রোববার অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি সোমবার আরও দুর্বল হবে কিন্তু আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার এটি আবার তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
এর আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার বলেন, এর আগে ঝড়টি এমন বিপদজনক হয়নি। ৯০০ জনের বেশি মানুষকে ক্রমবর্ধমান বন্যার পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ১৫ হাজার মানুষ।
কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ইঞ্চিতে নয়, ফুটে মাপতে হচ্ছে। বৃষ্টি থামার পরও কয়েকদিন পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন :
কে/এমকে
মন্তব্য করুন