ফিলিপিন্স ও চীনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন মাংখুত
ফিলিপিন্স ও চীনের দিকে ক্যাটাগরি-৫ এর শক্তিশালী টাইফুন মাংখুত ধেয়ে আসছে। শুক্রবার এটি আবারও শক্তিশালী হয়ে ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলীয় জনবহুল উপকূলীয় প্রদেশের দিকে এগোচ্ছে। খবর এবিসি নিউজের।
হাওয়াইভিত্তিক যৌথ টাইফুন সতর্ক কেন্দ্র আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া এই হারিকেনকে ক্যাটাগরি ৫-এর সমান উল্লেখ করে এটিকে একটি সুপার টাইফুনের শ্রেণিভুক্ত করেছে। এই টাইফুনের কারণে আক্রান্ত হতে পারে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।
ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়াবিদ ক্রিস পেরেজ বলেন, গত শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এই টাইফুনটি দেশটির সর্ব উত্তরের কাগায়ান প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু এখন এটি আরেকটি নিচের দিকে ইসাবেলা প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। এটি ইসাবেলা প্রদেশে আঘাত হানলেও টাইফুনটির ব্যাপকতার কারণে কাগায়ান প্রদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত: দালাইলামা
-------------------------------------------------------
এদিকে ভয়াবহ এই টাইফুন মোকাবেলা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কাগায়ান প্রদেশের মানুষ। প্রদেশটির রাজধানী শহর তুগুয়েগারাও-র বাসিন্দারা খাবার ও প্রচুর কাঠ সংগ্রহ করেছে।
তুগুয়েগারার একটি হোটেলের মালিক বেঞ্জামিন বানেজ বলেন, মানুষজন হার্ডওয়্যার স্টোর থেকে কাঠ, তারকাটা, প্লাইউড এবং ছাতাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে কাগায়ানে আরেকটি শক্তিশালী টাইফুনে বানেজের হোটেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে এবার প্রস্তুতি হিসেবে হোটেলের জানালার বাইরের অংশ কাঠ দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে তিনি।
সুপার টাইফুন মাংখুতের গতিপথ
বানেজ বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি এবার যাতে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়, যদিও আমরা জানি এটি খুবই শক্তিশালী।
এদিকে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে এখনও বিদেশি সহায়তার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সংকটের মাত্রার ওপর বৈদেশিক সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে। যদি সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশে যায় তাহলে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।
অন্যদিকে হংকং অবজারভেটরি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মাংখুত ফিলিপিন্সে আঘাত হানার পর সোমবার হংকংয়ের দক্ষিণে এবং হাইনান প্রদেশের উত্তরে আঘাত হানবে। ওইসময় টাইফুন তার তীব্রতা হারাবে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিনটি প্রদেশ গুয়াংডং, গুয়াংশি এবং হাইনান কর্তৃপক্ষ টাইফুন মাংখুত মোকাবেলায় সমন্বিত প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন :
এ/পি
মন্তব্য করুন