• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী-লেখকদের গণগ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১০:০৪
প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়

ভারতের পুলিশ মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যে নামকরা বামপন্থী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের বাড়ি হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এদের যোগসাজশ পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি, আনন্দবাজারের।

দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, রাঁচি থেকে শুরু করে আরও অনেক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মাওবাদীদের সমব্যথী হিসেবে পরিচিত কবি ভারভারা রাওকে হায়দরাবাদ থেকে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল)-র প্রধান সুধা ভরদ্বাজকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অরুণ ফেরেরা ও ভেনন গঞ্জালভেজকে মহারাষ্ট্র্রের থানে ও মুম্বাই থেকে আটক করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু দক্ষিণপন্থী কিছু সংগঠনের বিরোধিতায় অশান্তি শুরু হয়, যা পরে সহিংস হয়ে ওঠে। পরবর্তী তিনদিন ধরে নানা শহরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্তত একজন নিহত হন।

পুলিশের দাবি, ওই ঝামেলায় জড়িত ছিলেন ভারাভারারা। তদন্তে নেমে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করে পুলিশ জানায়, সেটিতে মোদিকে হত্যার ছকের উল্লেখ ছিল। চিঠিতে ভারাভারার নাম রয়েছে।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গুগল-ফেসবুক-টুইটারকে ট্রাম্পের হুমকি
-------------------------------------------------------

পুনে শহরের পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছিল এবং সেই সূত্রেই দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে জানাচ্ছে সেখানকার পুলিশ।

তারা বলছে, ওই ঘটনার তদন্তের সূত্রে এর আগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে পাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতেই এখন তল্লাশি অভিযান চালানোর কথা বলছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে তল্লাশি শুরু হওয়ার পরে থেকেই মানবাধিকার কর্মীরা ওইসব ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন।

দেশজুড়ে এই তল্লাশি অভিযান আর পাইকারি গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের নামকরা মানবাধিকার কর্মী, লেখক-বুদ্ধিজীবীরা।

লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, জনসমক্ষে যারা মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে, তাদের না ধরে উকিল, কবি, লেখক আর মানবাধিকার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারত কোন দিকে চলেছে। হত্যাকারীদের সম্মানিত করা হবে আর ন্যায়বিচার ও হিন্দু আধিপত্যের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলবেন, তাদের অপরাধী সাজানো হবে। এটা কী আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হলো?

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ভারতে এসব গ্রেপ্তারের ঘটনা উদ্বেগজনক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকার এই কাজ করছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে।

তারা বলেছে, ভারতে আইনজীবী, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী এবং মানবাধিকারের রক্ষকদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দমন অভিযান শুরু হয়েছে। একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের উচিৎ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের অধিকার রক্ষা করা।

নামকরা ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ টুইটারে এই গ্রেপ্তার অভিযানের নিন্দা করে বলেছেন, এটি খুবই উদ্বেগজনক। দেশের স্বাধীন কণ্ঠগুলো রুদ্ধ করার এই অভিযান বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিৎ।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত
শিশুকে গলাকেটে হত্যা, নানা গ্রেপ্তার 
‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে’
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
X
Fresh