অং সান সু চির ফ্রিডম অব এডিনবার্গ পুরস্কার প্রত্যাহার
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনবদ্য অবদান রাখায় অং সান সু চিকে ২০০৫ সালে তাকে ফ্রিডম অব এডিনবার্গ পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেয়া ফ্রিডম অব এডিনবার্গ পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। এমনটা জানিয়েছেন এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষ। খবর গার্ডিয়ান।
২০০৫ সালে এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষ সু চিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে বারবার অনুরোধ করা হলেও সু চি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনায় তেলঙ্গানা সরকার!
-------------------------------------------------------
২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধ করতে সু চিকে তার অপরিমেয় নৈতিক সাহস ও প্রভাব খাটাতে আহ্বান জানিয়েছিলেন এডিনবার্গের লর্ড প্রোভেস্ট ফ্রাংক রোস। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজেদের আবাসস্থলে ফিরতে পারেন, সেই সুযোগ দেয়ারও অনুরোধ করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু সু চির কাছ থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষ।
১৮০৮ সালে সর্ব প্রথম এই পুরস্কার দেয়া হয়। গত দুইশ বছরের মধ্যে কাউকে দেয়া এ পুরস্কার বাতিল করার এটা দ্বিতীয় নজির। ১৮৯০ সালে আইরিশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ চার্লস স্টিউয়ার্ট পারনেলকে দেয়া এ পুরস্কার বাতিল করা হয়েছিল। কারণ তখন তার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন চালায়।
জাতিসংঘ যেটাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছে।
সবশেষ এই ইস্যুতে ফ্রিডম অব এডিনবার্গ পুরস্কার হারাতে বসেছেন সু চি।
এপি/এমকে
মন্তব্য করুন