• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ফারো দ্বীপপুঞ্জে তিমির রক্তে লাল সাগরের পানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২২:৪২

উত্তর আটলান্টিকে নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মাঝে ছোট ছোট ১৮টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফারো দ্বীপপুঞ্জ। পুরো শীতজুড়ে এই দ্বীপপুঞ্জের ৫০ হাজার বাসিন্দার একমাত্র খাবারের উৎস হচ্ছে পাইলট তিমির মাংস ও চর্বি। কয়েকশ বছর ধরে এই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা তিমি শিকার করছে। কিন্তু তিমি শিকারের লোমহর্ষক ছবি দেখে অনেকেই আঁতকে উঠতে পারেন।

সম্প্রতি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অ্যালেস্টার ওয়ার্ড (২২) সান্তামাউগে উপসাগরে দলগতভাবে ‘হোয়েল ড্রাইভিং’ নামে তিমি শিকারের বেশ কিছু আলোকচিত্র প্রকাশ করেছেন। তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ফারো দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা বার্ষিক এই তিমি শিকার উৎসব পালন করে আসছে।

------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
------------------------------------------------------------------

ওয়ার্ড বলেন, খাড়িতে এতো তিমি দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তারা চোখা বৈঠার মতো খুঁটি দিয়ে তিমিগুলোকে খাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি ট্রায়েঙ্গেল নিউজ এজেন্সিকে জানান, তিমিগুলো যথেষ্ট কাছে এলে পুরো শহর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তিমিগুলোর গলা কাটতে থাকে। এমনকি শিশুরাও এতে যোগ দেয়। তারা দড়ি ধরে টানে, তিমির মরদেহগুলোর ওপরে উঠে লাফালাফি করে।

ওয়ার্ড বলেন, আমরা নির্বাক ও কিছুটা বিষণ্ণ হয়ে বসে ছিলাম কারণ এছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

ফারোবাসী তিমি শিকারের ব্যাপারটাকে সবার জন্য অংশ্রগ্রহণমূলক বলে মনে করে। খাবারের প্রয়োজনে ওই তিমি শিকার জাতীয় আইনে অনুমোদিত বলে জানা যায়। আইনে শুধু লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, শিকারের সময় তিমিদের যাতে সবচেয়ে কম কষ্ট দেয়া হয়।

ফারোবাসী জানায়, তাদের দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাইলট প্রজাতির তিমি আছে। সেগুলোর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হবে। আর তারা বছরে প্রায় ৮০০ তিমি শিকার করে।

কিন্তু ওয়ার্ড বলেন, যে উপায়ে তিমিগুলোকে হত্যা করা হয় সেটি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। শিকারের সময় তিমিগুলোর আহাজারি ছিল বিভীষিকাময়। দড়িতে আঙটা লাগিয়ে তাদের শরীর বিদ্ধ করে তীরের দিকে নিয়ে আসা হয়। তারপর ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের কোপানো হয়। তাদের হত্যার প্রক্রিয়া খুবই অমানবিক।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh