জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের সতর্কতা
ট্রাম্পের গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বাড়াতে পারে সহিংসতা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণমাধ্যমবিরোধী ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানালেন জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে হেয় করছেন ট্রাম্প। এছাড়া গণমাধ্যমকে শত্রু হিসেবে ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের গণমাধ্যমের ওপর এমন আক্রমণ সহিংসতা বাড়াতে পারে বলে জানালেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
জেনেভা ও ওয়াশিংটন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর এক বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও আন্তঃআমেরিকান মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে তাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অব্যাহতভাবে অবমূল্যায়ন করার চর্চা ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার (বিশেষ দূত) ডেভিড কেই ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তঃআমেরিকান কমিশনের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার অ্যাডিসন লানজা বলেন, গণমাধ্যমকে ট্রাম্পের আক্রমণ অত্যন্ত কৌশলী। তার প্রশাসন সম্পর্কে সন্দেহ ও লেখালেখিকে হেয় করাই এর লক্ষ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু, মিথ্যা সংবাদদাতা, অসৎ ও গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের গণমাধ্যমবিরোধী বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতরা বলেন, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান জানানোর বাধ্যবাধকতার প্রতিবন্ধক। ক্ষমতার সম্ভাব্য অপব্যবহার, অপকর্ম, অপচয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে বাধা দিতেই এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণমাধ্যমকে শত্রু হিসেবে অভিহিত করে অপছন্দের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে চলছেন।
এদিকে বুধবার রাশিয়া নিয়ে রবার্ট মুলারের তদন্ত অবিলম্বে বন্ধ করতে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের উচিত এখনই এই ‘উইচ হান্ট’ তামাশা বন্ধ করা। যাতে আমাদের দেশ আরও কলঙ্কিত না হয়।
এপি/জেএইচ
মন্তব্য করুন