যেভাবে চলছে থাই গুহায় উদ্ধার কাজ
থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে গুহায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ছয় কিশোর ফুটবলারকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল স্থানীয় সময় সকাল দশটায় গুহায় প্রবেশ করে বলে ঘটনাস্থলেই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।
যেভাবে চলছে থাই গুহায় উদ্ধার কার্যক্রম তা আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
বিশাল পাহাড়ের ভেতরে গভীর অন্ধকার গুহা। একেক জায়গা একেক রকম। কোনও জায়গা পানিতে টইটম্বুর। আবার কোনও জায়গা অনেক উঁচু। কোনও কোনও জায়গা একেবারে সরু।
থাম লুয়াং নামের এই বিপদসংকুল গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে সাঁতরে, হেঁটে, লাফিয়ে এবং হামাগুড়ি দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। উদ্ধার কার্যক্রমে বেশি ব্যবহার হচ্ছে রশি। এখন পুরো বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের চোখ থাইল্যান্ডের ওই গভীর গুহায়।
এরই মধ্যে ছয় কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি রয়েছেন কোচসহ ছয়জন।
অভিযান দলের প্রধান নারংসাক ওসতানাকর্ণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৮ জন উদ্ধারকারী ডুবুরি ও এলিট নেভি সিল সদস্য কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধারের জন্য গুহার ভেতর প্রবেশ করেছে।
গুহাটি সাপের মতো পেচানো। জায়গায় জায়গায় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য রশি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মী ও কিশোরদের পুরো মুখে পরতে হচ্ছে মাস্ক। তবে এতে শ্বাসগ্রহণে তেমন বিঘ্ন হবে না। প্রত্যেক কিশোরকে দুইজন ডুবুরি সঙ্গ দিচ্ছেন। সে দুই ডুবুরি কিশোর ও নিজেদের জন্য অক্সিজেনও বহন করছেন।
ডুবুরি দলের চেয়ারম্যান মার্টিন গ্রাস জানান, কিশোরদের বলা হচ্ছে যেন তারা শ্বাস আটকে না রাখে। ধীরে ধীরে তাদের শ্বাস নিতে হবে ও হাত নাড়াতে হবে।
এর আগে গুহায় কিশোরদের আটকে যাওয়ার স্থানে পর্যবেক্ষক ডুবুরির যেতে সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা আর ফিরে আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা।
সেই পর্যবেক্ষক ডুবুরি জানান, গুহা থেকে বের হওয়ার মধ্যপথ সবচেয়ে বিপদসংকুল। এ জায়গাটির নাম ‘টি-জাংশন’। টি-জাংশনের জায়গাটি খুবই সরু। টি-জাংশন থেকে বের হওয়ার জন্য ‘এয়ার ট্যাংক’ খুলে রাখতে হবে।
টি-জাংশন পার হয়ে গুহার ‘চেম্বার-৩’ নামের জায়গাটি ডুবুরিদের সম্মুখ বেজ। এখানে ডুবুরিরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। চেম্বার-৩ পার হওয়ার পর গুহার প্রবেশপথ। এখান থেকে বের হওয়ার পর উদ্ধার কিশোরদের সরাসরি নিটকস্থ চিয়াং রাই শহরের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন একটি প্র্যাকটিস ম্যাচের পর ওই গুহায় প্রবেশ করে ১২ শিশু ফুটবলার ও তাদের কোচ। ওই শিশুদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে এবং তাদের কোচের বয়স ২৫ বছর। কিন্তু সেখানে প্রবেশের পর ভারী বর্ষণের কারণে তারা গুহায় আটকা পড়ে।
এপি/জেএইচ
মন্তব্য করুন