তারা যাকে ভোট দেন তিনিই হন প্রেসিডেন্ট
কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট? এর উত্তর অনেকটা নির্ধারণ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল-রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি ৩৯টি অঙ্গরাজ্য।
৫০টি অঙ্গরাজ্যের বাকি ১১টির ভোটাররা প্রার্থী বেছে নিতে সংশয়ে থাকেন। এগুলোকে বলা হয় ‘সুইং স্টেটস্’ বা দোদুল্যমান রাজ্য। এসব রাজ্যে যিনি জয়ী হন, তিনিই হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
‘সুইং স্টেটস’গুলো হলো ফ্লোরিডা, ওহাইয়ো, নেভাদা, আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, কলোরাডো, নর্থ ক্যারোলিনা, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন। ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে এসব রাজ্যে আছে, ১৪৬টি ভোট।
এর মধ্যে ফ্লোরিডায় ২৯, পেনসিলভেনিয়ায় ২০, ওহাইয়োতে ১৮, মিশিগানে ১৬, নর্থ ক্যারোলিনায় ১৫, ভার্জিনিয়ায় ১৩, উইসকনসিনে ১০, কলোরাডোয় ৯, নেভাদায় ৬, আইওয়ায় ৬ ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ৪টি ইলেকটোরাল ভোট আছে। মোট ভোটে যিনি ম্যাজিক ফিগার ২৭০ স্পর্শ করতে পারেন, তিনিই হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
এসব রাজ্যের ভোটাররাই ঠিক করবেন, কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে হোয়াইট হাউস। ২০০৮ সালে ১১টির সব ক’টিতে এবং বারো’তে ১০টিতে জয় পেয়েছিলেন বারাক ওবামা।
‘সুইং স্টেটস্’র মধ্যে সানশাইন খ্যাত ফ্লোরিডাই ২০০০ সালে গড়ে দিয়েছিলো জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাগ্য। মোট ভোটে ডেমোক্রেট আল গোরের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিস্পানিক ভোটাররা জয় এনে দেন জুনিয়র বুশকে।
নির্বাচনে রাজার ভূমিকায় থাকা ওহাইয়ো’র শেষ দশবারের ইতিহাস বলছে এখানে জয় যার, হোয়াইট হাউসও তার। নাটকীয়ভাবে একমাত্র এ রাজ্যেই জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। মরুপ্রধান নেভাদার ছয়টি ভোট কার ভাগ্যে জুটবে তা নিয়ে সংশয়ে বিশ্লেষকেরা।
আকারে ছোট হলেও জয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কৃষিনির্ভর নিউ হ্যাম্পশায়ার। কলোরাডোর সাম্প্রতিক জরিপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে হিলারি-ট্রাম্পকে। রিপাবলিকান খ্যাত নর্থ ক্যারোলিনায় ২০০৮ সালে ওবামা জয় পেলেও, বারো’তে তা ফিরে পায় রিপাবলিকানরা।
সুইং স্টেটসে বেশিরভাগের জনমত জরিপেই এগিয়ে আছেন হিলারি। তবে উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া, ওহাইয়োর মতো শ্বেতাঙ্গপ্রধান অঙ্গরাজ্যের অতিরিক্ত ভোট ছিনিয়ে নেয়ার বাজি ধরেছেন ট্রাম্প।
তবে এবারের নির্বাচনে তুরুপের তাস হিসেবে থেকে যাচ্ছে থার্ড পার্টির ভূমিকা। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় সুবিধা করতে পারলে বদলে যেতে পারে সব সমীকরণ।
শামীমা / এফএস/ জেএইচ
মন্তব্য করুন