ভিক্ষার ঠেলাগাড়িতে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে ৬০ কি.মি. পাড়ি!
ছোট ঠেলাগাড়ি নিয়েই রামুলু ও তার স্ত্রী কবিতা ভিক্ষা করে জীবনধারণ করতেন হায়দারাবাদে। গেলো শুক্রবার মৃত্যু হয় প্রিয়তমা স্ত্রীর। রামুলু চেয়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহটি গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবেন। হায়দারাবাদে রেললাইনের পাশেই যান অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে। কিন্তু ৫০০০ রুপি ভাড়া চাওয়া হয়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, রামুলুর ১০০০ রুপি দেবার মতোও সামর্থ্য নেই।
উপায় না দেখে কবিতার মরদেহ ভিক্ষা করার সেই ঠেলাগাড়িতে করেই ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘপথ পাড়ি দেবার জন্য রওনা হন রামুলু। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা হাঁটার পর জানতে পারেন, উল্টো পথে চলে গেছেন। পথের ধারেই পড়ে কাঁদতে থাকেন রামুলু। স্থানীয়রা দৃশ্যটি দেখে পুলিশকে জানায়।
এনডিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ নারীর মরদেহের পাশে বসে কাঁদছেন। বিধ্বস্ত রামুলুকে টাকা দিচ্ছেন কয়েকজন পথচারী। তাদের মধ্যে একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন মরদেহটিকে গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দেবার জন্য। যা ওই স্থান থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূর।
কিন্তু তাতেও কষ্ট দূর হয়নি রামুলুর। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে কবিতার মৃত্যু হওয়ায় শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউ। একাই স্ত্রীর শেষকৃত্য করেন রামুলু।
এইচএম/এস
মন্তব্য করুন