• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কিমকে ফোন নাম্বার দিলেন ট্রাম্প, কথা হতে পারে আজই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ জুন ২০১৮, ১১:৩৫

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে নিজের টেলিফোন নাম্বার দিয়েছের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয় নাম্বার দিয়ে তিনি বলেন, এটা তোমার কাছে রাখ। আমাকে ফোন দিও সরাসরি, প্রয়োজনে। খবর আনন্দবাজারের।

তার মানে, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের রিসেপশন রুমের নানা রকমের বিধিনিষেধের পাঁচিল টপকে আর ট্রাম্পের কাছে পৌঁছতে হবে না কিমকে। চাইলে, প্রয়োজনে রিসিভার তুলে উত্তর কোরিয়ার নেতা এবার বলতে পারবেন, হ্যালো ...কিম বলছি...।

কিমও যে নিজের টেলিফোন নাম্বারটা দিয়েছেন, সেই খবরটা শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। কিমের ফোন কবে আসবে তার অপেক্ষায় না থেকে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগে তিনিই ফোনটা করবেন কিমকে। উত্তর কোরিয়ার নেতার সরাসরি ল্যান্ড লাইন নাম্বারে। আর সেটা আজ রোববারই ‘ফাদার্স ডে’তে।

কিমের সঙ্গে বয়সের ফারাকে ট্রাম্প দ্বিগুণেরও বেশি। যেন পিতৃতুল্য! ট্রাম্প এখন ৭২ আর কিম পা দিয়েছেন ৩৪ বছরে।

প্রশ্ন উঠছে, তাই কি ওয়াশিংটন থেকে পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সরাসরি ল্যান্ড লাইনে ফোন করার জন্য ‘ফাদার্স ডে’-কেই বেছে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? বিশ্ব রাজনীতিতে ‘দাদা’ আমেরিকা কি তবে উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে ‘বাবার ভূমিকা’ নিতে চাইছে?

ইউরোপের ক্যাথলিক সমাজে প্রতি বছর ১৯ মার্চ দিনটিকে ‘ফাদার্স ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। আর আমেরিকায় ওই দিনটা পালন করা হয় জুনের তৃতীয় রোববার। এবার সেই তারিখটা ১৭ জুন। যে দিনে কোনও পিতা তার পরিবারের সঙ্গে দিনটা কাটান আনন্দে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’-এর এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, এবার কী করবেন তিনি ‘ফাদার্স ডে’তে?

ট্রাম্প বলেন, এদিন আমি উত্তর কোরিয়ার মানুষদের ফোন করতে চলেছি। উত্তর কোরিয়ায় মার্কিনি যারা আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলতে চলেছি। তবে কিম জং উনের নাম উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।

গত মঙ্গলবার (১২ জুন) সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে তার ঐতিহাসিক বৈঠকের পর থেকেই পিয়ংইয়ং নিয়ে নানা জায়গায় সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

হোয়াইট হাউসের লনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি তো এখন কিম জং উনকে যখনতখন ফোন করতে পারি। বলতেই পারি, ঝামেলা থাকতেই পারে, কিন্তু ছাড়ো তো ওসব। আমি তো তাকে আমার সরাসরি নাম্বার দিয়েছি। বলেছি, কোনও অসুবিধা হলেই সরাসরি আমাকে ফোন দিতে।

দুদিন আগেও যে দেশ ‘ঘোর শত্রু’ ছিল, সেই উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখে ভালো ভালো কথা শোনা যাচ্ছে দেখে খুশি নন অবশ্য অনেকেই। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটরা তো বলতে শুরুই করে দিয়েছেন কিমের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে বসে পিয়ংইয়ংকে বড় বেশি ছাড় দিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পিয়ংইয়ংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাসকে বেমালুম ভুলে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে সংবাদমাধ্যমেও।

ট্রাম্প অবশ্য সে সব গুঞ্জনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। এক সাংবাদিককে ট্রাম্প বলেছেন, এসব কেন করছি, জানেন? আমি চাই না, পরমাণু অস্ত্র আপনাকে আর আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দিক। আমি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh