৪ রাজ্যেই ভাগ্য নির্ধারণ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে জয়ী হতে হলে জিততে হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে। সবমিলিয়ে এ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে ৫৩৮টি।২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট যিনি পাবেন, তিনিই হবেন জয়ী।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতার বৈশিষ্ট্য হলো আধিকাংশ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে একই পার্টি জিতে আসছে। ফলে একদিকে যেমন দীর্ঘদিন ধরে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্কের লোকেরা ডেমোক্র্যাট পার্টিকে জেতাচ্ছে, অন্যদিকে টেক্সাস, লুইজিয়ানা, টেনেসি রাজ্যের বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে আসছেন। ফলে হাতে গোনা কিছু রাজ্য থাকে, যেগুলো নির্ধারকের ভূমিকা পালন করে। মার্কিন রাজনীতিতে এগুলোর ‘নাম ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটস’। এ রকম রাজ্য হচ্ছে পেনসিলভেনিয়া (২০টি ইলেক্টোরাল ভোট), নিউ হ্যাম্পশায়ার (৪), নেভাদা (৬), ওহায়ো (১৮), আইওয়া (৬), ফ্লোরিডা (২৯), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫), কলোরাডো (৯) আর নিউ মেক্সিকো (৫)। হিলারি এবং ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে এসব রাজ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ার, পেনসিলভেনিয়া, কলোরাডো আর নিউ মেক্সিকোতে জিততে পারলেই হোয়াইট হাউসে যেতে পারবেন হিলারি। তবে তার সঙ্গে এটাও ধরে নেয়া হচ্ছে উইসকনসিন, মিশিগান ও মিনেসোটাতে তিনি জিতবেন। গেলো বার ওবামাও জিতেছিলেন এ রাজ্যগুলোতে। একমাত্র এ সমীকরণেই হিলারি ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাবেন।
আর ট্রাম্পকে জিততে হলে ২০১২ সালে ওবামার পক্ষে পড়া ৬৪টি ইলেক্টোরাল ভোট ছিনিয়ে আনতে হবে। আর এখানেই চলে আসছে পেনসিলভেনিয়ার গুরুত্ব। কারণ, এ রাজ্যের ভাগে আছে ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট। গেলো ৬টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসেলভেনিয়ার নাগরিকেরা টানা ডেমোক্র্যাটদের জিতিয়ে এসেছেন।
ঠিক এ মুহূর্তে যা অবস্থা, তাতে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প-ঝড় পেনসেলভেনিয়ার সীমান্তে এসে থমকে আছে।
এপি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন