• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কলকাতায় প্রথমবারের মতো হার্ট প্রতিস্থাপন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ মে ২০১৮, ১৪:৫৩
প্রতীকী ছবি

দাতা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। গ্রহীতা কলকাতার। মাঝে দেড় হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব। সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়ে কলকাতায় শুরু হলো পূর্ব ভারতের প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার। যা সফল হলে নতুন জীবন পাবেন দিলদার সিংহ। আর তার হৃদয় জুড়ে বেঁচে থাকবেন বেঙ্গালুরুর বরুণ ডি কে। খবর এবেলার।

এই হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনকে ঘিরেই সোমবার সকাল থেকে ই-এম বাইপাস লাগোয়া ফর্টিস হাসপাতালে সাজ সাজ রব। ইতোমধ্যেই বেঙ্গালুরু থেকে বরুণ ডি কে-র হৃদযন্ত্র নিয়ে এসে দিলদার সিংহের শরীরে প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। অস্ত্রোপচারকে সফল করতেই সকাল থেকে পুলিশ, প্রশাসনে সক্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী বরুণ ডি কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাকে ভর্তি করা হয় বেঙ্গালুরুর ফর্টিস হাসপাতালে। সেখানে তার ব্রেন ডেথ হওয়ার পরেই বরুণের হৃদযন্ত্র দান করার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এর পরে দেখা যায়, বরুণের সঙ্গে কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিলদার সিংহের রক্তের গ্রুপ মিলছে। দ্রুত হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুরু হয় আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। প্রতিস্থাপনের কথা জানানো হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ভারতে নিপাহ ভাইরাসে নয়জনের মৃত্যু, মহামারীর আশঙ্কা
--------------------------------------------------------

ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বরুণের হৃদযন্ত্র তার শরীর থেকে বের করে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর তা বিমানে করে কলকাতায় আনা হয়। সকাল এগারোটার কিছু আগে দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ বিমান পৌঁছায় কলকাতায়। আগে থেকেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ভিআইপি রোড হয়ে ই-এম বাইপাসলাগোয়া ফর্টিস হাসপাতাল পর্যন্ত গ্রিন করিডর প্রস্তুত করা ছিল। সেই পথেই বরুণের হৃদযন্ত্র নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

বিমানবন্দর থেকে বাইপাস-লাগোয়া ওই হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। গ্রিন করিডর ধরে মাত্র ১৮ মিনিটে এই পথ অতিক্রম করে অ্যাম্বুলেন্স। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যস্ত সময়ে গ্রিন করিডর তৈরি করে অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছাতে সাহায্য করা পুলিশের পক্ষেও যথেষ্ট কৃতিত্বের। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী হলেও অস্ত্রোপচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, পূর্ব ভারতে এটি প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন। এই অস্ত্রোপচার করার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর শরীর কীভাবে সাড়া দেয়, বরুণের হৃদযন্ত্র দিলদারের শরীর আদৌ গ্রহণ করে কিনা, তার ওপরই নির্ভর করছে এই অস্ত্রোপচারের সাফল্য। তিনঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পরেই এই সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব।

এদিকে ফর্টিস কর্তৃপক্ষের দাবি, এই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় কুড়ি লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। যদিও আর্থিক দিক নিয়ে না ভেবে অস্ত্রোপচারের সাফল্য নিয়েই বেশি চিন্তিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন দিলদার।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কলকাতাকে হারাতে জার্সি বদল কোহলিদের
চালকবিহীন মেট্রোরেল চালু হলো কলকাতায়
ঈদে কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে ‘মির্জা’
মোস্তাফিজদের কাছে হেরে যে ব্যাখ্যা কলকাতা অধিনায়কের
X
Fresh