• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

চালককে পেছনে বসিয়ে গাড়ি চালালেন ভারতের এক জেলা প্রশাসক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ মে ২০১৮, ১৩:১৪

চাকরি জীবনের শুরু ও শেষদিন একটি বিশেষ মুহূর্তের। তাই যখন কেউ অবসরে যান তখন তার সহকর্মীরা ব্যবস্থা করেন বিদায় অনুষ্ঠানের। কিন্তু আমাদের জীবনে মাঝেমাঝে এমন অবাক করা ঘটনা ঘটে, তা কখনও দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। তেমনই অনন্য এক ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতের কর্নাটকের কুরুর জেলার কালেক্টর টি. অন্বাঝগান। খবর ডেকান হেরাল্ড, ইন্ডিয়া টুডের।

ঘটনাটি ৩০ এপ্রিলের। কালেক্টর টি. অন্বাঝগানের গাড়ি চালকের অবসরে যাওয়ার দিন। সবকিছু ঠিকঠাক। প্রস্তুত বদলি ড্রাইভারও। কিন্তু যে ড্রাইভার দীর্ঘ ৩৫ তামিলনাড়ু সরকারের হয়ে কাজ করে গেছেন, কালেক্টরদের জন্য গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। বিদায় বেলায় তার জন্যই দরজা খুলে দিলেন কালেক্টর অন্বাঝগান। আর তৎক্ষণাতই এমন অনন্য মুহূর্তের ছবি তুলে নেন অনেকে।

এমনকি ওই চালক পরমাসিবাম ও তার স্ত্রীকে গাড়িতে চড়িয়ে তাদের বাসা পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসক অন্বাঝগান। রাস্তায় সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই বিষম খাওয়ার যোগাড়। তবে নিখাঁদ পেশাদার ড্রাইভারের মতোই গাড়ি চালিয়ে তার ‘সেদিনকার বসকে’বাসায় পৌঁছে দেন অন্বাঝগান। অফিস থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের পরমাসিবামের বাড়ি গান্ধিগ্রাম পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান তিনি। পরে পরমাসিবামের পরিবারের সঙ্গে তার বাড়ি এক কাপ কফিও খান ওই কালেক্টর।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ভারতে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ ওয়ার্ক পারমিট দেবার প্রস্তাব
--------------------------------------------------------

পরামাসিবম বলেন, আমি পুরো ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কখনও ভাবিনি যে আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে। আমি আমার বসের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি গর্বিত যে আমার কাজের মাধ্যমে নিজের রাজ্যের কিছু সেবা করতে পেরেছি।

পরমাসিবমের বিদায় উপলক্ষে ২৯ এপ্রিল অফিসে একটি পার্টিও দেন অন্বাঝগান। তার ভাষায়, এটি আসলে সাড়ে তিন দশকের ক্যারিয়ার শেষে পরমাসিবামের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।

কালেক্টর অন্বাঝগান বলেন, পরমাসিবামের কাজ ছিল কারুর কালেক্টরের জন্য গাড়ি চালানো এবং সেটা তিনি ভালোভাবেই পালন করেছেন। তাই তার চাকরি শেষদিনে তাকে গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া কেবল শ্রদ্ধা মাত্র।

কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কালেক্টর অন্বাঝগানের এবারই প্রথম নয়। এর আগে গেলো মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তাকে খাবার খাওয়ান। তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে এক ঘণ্টার ওপর কথা বলেন ও তার সমস্যা শোনেন। পরে তিনি ওই নারীর জন্য মাসে এক হাজার রুপি পেনশন দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই নারীর আর্থিক অবস্থা ভালো নয় এমন তথ্য পাওয়ার পর কালেক্টর অন্বাঝগান তার বাড়িতে যান।

উল্লেখ্য, গেলো মার্চ মাসেই করুর জেলা কালেক্টরের দায়িত্ব নেন অন্বাঝগান।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সেই ইজিবাইকচালকের পাশে দাঁড়াল র‌্যাব
অষ্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ট্রাকচালকের মৃত্যু 
ওষুধ কিনতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
প্রাইভেটকারের চাপায় ভ্যানচালক নিহত
X
Fresh