• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিরিয়া হামলায় পার্লামেন্টে তোপের মুখে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৪৮

পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় হামলা চালানোর কারণে এমপিদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এ হামলাকে বেআইনি বলে অভিহিত করেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বরাবরই হামলার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে দাবি করেছেন। এমনকি নিজ দলের আইনপ্রণেতাদেরও তীব্র সমালোচনার শিকার হন তিনি।

থেরেসা মে বলেন, যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বার্থেই মিত্রদের সঙ্গে সিরিয়া হামলায় যোগ দিয়েছে।

সিরিয়ায় হামলার আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছিল দেশটির রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্পিকার জন বার্কো প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে বিতর্কের জন্য দুদিন বরাদ্দ দেন। গতকাল বৈকালিক অধিবেশনে প্রায় তিনঘণ্টাব্যাপী চলে বিতর্ক। আজ মঙ্গলবার এমপিদের মতামতের জন্য ‘ওয়ার পাওয়ার অ্যাক্ট’প্রণয়নের প্রস্তাব তুলবে লেবার পার্টি প্রধান জেরেমি করবিন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ভারতীয় দূতাবাসের অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে বোমা বিস্ফোরণ
--------------------------------------------------------

গতকাল পার্লামেন্টে বিতর্কের শুরুতে থেরেসা মে সিরিয়া হামলা এবং নিজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাজ্যের রাস্তায়, সিরিয়ায় অথবা বিশ্বের কোথাও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না। মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করলে রাশিয়া তাতে আপত্তি জানিয়ে আটকে দেবে। এতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিকে রাশিয়া বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ পায়।

ওয়েস্টমিনিস্টার পার্লামেন্টে সোমবার যখন বিতর্ক চলছিল, তখন বাইরে ‘স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশন’এর ব্যানারে শত শত লোক সিরিয়ায় হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের সংবিধান মতে অন্যদেশে হামলার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু ২০০৩ সালে ইরাক হামলার সময় থেকে প্রতিটি যুদ্ধে জড়ানোর আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীরা। বিরোধী দলীয় করবিন বলেন, থেরেসা মে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়ার এই রীতি ভঙ্গ করেছেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা পূর্ব গৌতার দুমা এলাকায় নিষিদ্ধ রাসায়নিক গ্যাস হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা এই হামলার জন্য সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর সমর্থনকারী রাশিয়াকে দায়ী করে। শাস্তি হিসেবে সিরিয়ায় মিসাইল হামলা চালানোর ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘোষণার জের ধরেই সন্দেহভাজন রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানায় বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

আরও পড়ুন :

কেএইচ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসরায়েলে বড় আকারের রকেট হামলা চালাল হিজবুল্লাহ
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৭
ইরাক থেকে সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা
হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় আহত ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু
X
Fresh