• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মুসলমানদের তাড়াতে ধর্ষণের পর খুন করা হয় শিশুটিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:২০

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের আট বছরের একটি শিশু আসিফা বানু। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রাসানা গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয় ওই কন্যাশিশুকে। এই মামলার তদন্ত করে রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সম্প্রতি আদালতের কাছে চার্জশিট পেশ করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তে ঘটনার বিবরণে উঠে এসেছে বীভৎস চিত্র। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আজীবন নির্বাচনে অযোগ্য হলেন নওয়াজ শরীফ
--------------------------------------------------------

চার্জশিটে বলা হয়েছে, হিন্দু প্রধান এলাকা থেকে মুসলমানদের তাড়ানোর জন্য এ ঘটনার সূত্রপাত। অপহরণ, ধর্ষণ আর হত্যার ঐ মামলায় আটজন অভিযুক্তের মধ্যে চার জন পুলিশ কনস্টেবল। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে তাদের মুক্তির দাবিতে আর গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিতে জম্মু অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে জম্মু বার এসোসিয়েশনের সদস্যরা। ওই সব বিক্ষোভে দেখা গেছে ভারতের জাতীয় পতাকাও।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আট বছরের ঐ কন্যাশিশুটিকে জম্মুর কাঠুয়া জেলায় তার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের সাতদিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কাঠুয়া জেলার বসানা গ্রামে।

চার্জশিটে পুলিশ জানায়, অপহরণের পর শিশুটিকে বসানা গ্রামের একটি মন্দিরে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের আগে ঐ মন্দিরে পূজাও করা হয়। মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ৬০ বছর বয়সী সাঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক ভাইপো, চার পুলিশ কর্মী এবং আরেক ব্যক্তি এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

চার্জশিটে পুলিশ আরও উল্লেখ করেন, শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে আসার পরে তাকে মদ খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল। আর একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। টানা ধর্ষণ করার পর যখন অভিযুক্তরা ঠিক করে তাকে মেরে ফেলা দরকার; ঠিক তখন একজন অভিযুক্ত পুলিশ অন্যদের বলে, ‘এখনই মেরো না। দাঁড়াও। আমি ওকে শেষবারের মতো একবার ধর্ষণ করে নিই।’

তারপর ওই পুলিশ কর্মী নিজে চেষ্টা করেন ওই শিশুটিকে হত্যা করতে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। পরে সাঞ্জি রামের ভাইপো ওই শিশুকে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা থেঁতলে দেয়া হয় পাথর দিয়ে।

আরও পড়ুন :

এপি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৪ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন দানি আলভেজ
সাঁথিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩ যুবক
আর্জেন্টিনায় নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের অভিযোগে চার ফুটবলার আটক
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
X
Fresh