‘আমি শান্তি চাই, ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাই না’
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে রামনবমীর মিছিল থেকে কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্থানীয় মসজিদের ইমামের ১৬ বছরের ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমন ঘটনার পর ক্ষেপে ওঠে সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলমানরা। তবে ছেলের জানাজার সময় আবেগঘন এক বক্তৃতা দেন ইমাম মাওলানা ইমদাদুল রশিদি। সেখানে তিনি তার ছেলের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিষেধ করেন এবং দাঙ্গা না বাঁধানোর অনুরোধ করেন। তবুও সবাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে চাইলে ইমাম বলেন, কোনো প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে আর কারও মৃত্যু হলে আমি শহর ছেড়ে চলে যাব।
নিজের ছেলেকে হত্যার পরও সুনিশ্চিত দাঙ্গা রুখে দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন ইমাম রশিদি। ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ইমাম রশিদির বার্তাই প্রমাণ করে, ভারতে ভালোবাসা চিরকালই ঘৃণাকে হারিয়ে দেবে।
আসানসোলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইমাম রশিদির সদ্য মাধ্যমিক দেওয়া ছেলে সিবতুল্লা খুন হন। ওই ঘটনার পর ইমাম রশিদি বলেন, আমি শান্তি চাই। কেন ছেলের মৃত্যু, তা জানতে চাই না। আমি চাই না যে আর কারও পরিবার তার ছেলেকে হারাক। তোমরা যদি আমাকে ভালোবাস, তাহলে কেউ আঙুলও তুলবে না।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘অবাধ্য’ প্রিন্সের ভাতা কমালো বেলজিয়াম পার্লামেন্ট
--------------------------------------------------------
এদিকে ইমাম রশিদিকে ভারতরত্ন খেতাবে ভূষিত করার দাবি জানিয়েছেন নন্দিত গায়ক কবীর সুমন। ইমাম রশিদির গণসংবর্ধনার আয়োজন করারও দাবি তুলেছেন তৃণমুল কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ।
কবীর সুমন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, সাচ্চা মানুষ নুরানি মসজিদের ইমাম, যার ছেলেকে ওইভাবে খুন করলো হিন্দুত্বের অভিভাবকরা। এই ইমাম সাহেবকে ভারতরত্ন দেয়া হবে না? সব রাজনৈতিক দলের, বিশেষ করে এ রাজ্যের তৃণমূল, সিপিআইএম, বিজেপি, নকশালপন্থী বিপ্লবীরা কী বলেন?
আরও পড়ুন:
এ/পি
মন্তব্য করুন