ভারতে ট্রেনে চাকরির জন্য পিএইচডিধারীও মরিয়া কেন?
ভারতের রেল-বিভাগ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যার জন্য আবেদন করা যাবে এখনও ৫ দিন। তার আগেই কোটি কোটি আবেদন জমা পড়েছে প্রায় এক লাখ পদে। আরও প্রচুর দরখাস্ত আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পদগুলো মূলত, রেলওয়ে পুলিশ, লোকোমোটিভ চালক এবং টেকনিশিয়ান-এর। সেজন্য অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হবে। বেকারত্ব ভারতের জন্য বিশাল এক সমস্যা এবং কোটি মানুষ কাজ পাচ্ছে না।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের মাঝারি এবং নিচু সারির কাজের জন্য এত বেশি লোকের সাড়া পেয়ে তারা বিস্মিত।
রেলের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় পত্রিকাকে বলেছেন, চাকরিপ্রার্থী অনেকেই অতিরিক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন। এমনকি পিএইচডি ডিগ্রীধারীরাও টেকনিশিয়ানের চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছেন।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, কেবল টেকনিশিয়ান এবং লোকোমোটিভ চালক হিসেবে কাজ করার জন্য ৫০ লাখের বেশি মানুষ আবেদন জমা দিয়েছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সৌদিতে বিদেশিদের সঙ্গে বিয়ের নতুন শর্ত
--------------------------------------------------------
ভারতের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বিশ্বের অন্যতম বিশাল নেটওয়ার্ক যেখানে দৈনিক দুই কোটি ত্রিশ লাখ লোক রেলে যাতায়াত করেন। আর রেলে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন ১০ লাখের বেশি।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের, তার মধ্যে ভারতে রেল-বিভাগ অন্যতম।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই কাজের জন্য মরীয়া আবেদনকারীর সংখ্যা যে কত ব্যাপক সেটি স্পষ্ট হয় এর আগের বিভিন্ন নজির থেকে।
২০১৫ সালে উত্তর প্রদেশে নিম্ন-সারির ৩৬৮টি সরকারি পদের জন্য আবেদন পড়েছিল ২০ লাখের বেশি।
সেই একই বছর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিশাখাপত্তমে সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগ দেয়ার জন্য মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে অনেকেই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
২০১০ সালে মুম্বাইতে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিতে হাজার দশেক মানুষ হাজির হলে সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং ১১ জন আহত হয়।
১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ২৮১টি পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিলে লাখ লাখ মানুষের আবেদন জমা পড়তে থাকে। বিবিসি বাংলা।
আরও পড়ুন:
- ট্রাম্পের দেশে এয়ারপোর্টে হেনস্তা হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারে সু চির আজ্ঞাবহ প্রেসিডেন্ট
এসআর
মন্তব্য করুন