ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিরবতা ভাঙছেন কাজাখ নারীরা
মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্র কাজাখস্তানের রক্ষণশীল মুসলিম সমাজে ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানির প্রশ্নে নারীরা কথা বলতেই ভয় পান। কিন্তু সেই সমাজেই শুরু হয়েছে নিরবতা ভাঙার এক আন্দোলন। খবর বিবিসির।
সাইনা রাইসোভা নামের এক নারী গত বছর দুই ব্যক্তির কাছে ধর্ষণের শিকার হন। ওইদিনের কথা মনে করতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ধর্ষণকারীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে তিনি চারতলার ওপর থেকে মাটিতে লাফিয়ে পড়েন।
তার কোমর ও পায়ের গোঁড়ালি ভেঙে যায়। কিন্তু সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি বলছিলেন, প্রথম যে কথাটা আমার মাথায় এসেছিল তা হলো আত্মহত্যা। আমার মনে হয়েছিল এই জীবন রেখে আর কী হবে?
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের রকেট হামলায় নিহত ৩৫
--------------------------------------------------------
কাজাখ সমাজে যৌন নিপীড়নের কথা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করাকে এখনও লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করা হয়।
বিবিসির সাথে আলাপকালে তার ধর্ষণের কথা গোপন রাখার জন্য তাকেও অনেক চাপ সইতে হয়েছে বলে জানান সাইনা।
তিনি বলেন, আমাকে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সঙ্গেই লড়াই করতে হয়নি। আমাকে লড়তে হয়েছে নিজের সঙ্গে, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে। কারণ তারা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা বিষয়টা বুঝতে পারছিলেন না।
সাইনা বলেন, পুরো ব্যাপারটা আমার পরিবার লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এটা ছিল তাদের জন্য চরম লজ্জার ব্যাপার।
ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সাইনা যে মামলা করেছিলেন তার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবং ধর্ষকরা মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় সাইনা গত বছর এই ঘটনাটি সবার সামনে ফাঁস করে দেন।
এরপরই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আদালত একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। তবে দ্বিতীয় অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনও ফেরার।
সরকারি হিসাব মতে, ২০১৭ সালে কাজাখস্তানে যৌন সহিংসতার ২২৫০টি কেস রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
আরও পড়ুন:
এ/পি
মন্তব্য করুন