• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ মার্চ ২০১৮, ২০:৩৩

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বাংলাদেশি একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বিএস-২১১ ফ্লাইটটি দুর্ঘটনায় ২ শিশুসহ ৪৯ জন নিহতের খবর জানিয়েছে নেপাল পুলিশ। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে এর আগেও আরও বহু বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসি।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি কাঠমান্ডু শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। নেপাল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানান, বিমানবন্দরটিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো বিমান অবতরণের পর থেকে এপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এসব দুর্ঘটনায় ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বিমানের পাশাপাশি সেখানে হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হবার পর নেপালে বিমান চলাচলে নিরাপত্তার দুর্বলতার বিষয়টি ফের সবার নজরে আসে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তাদের সমালোচনা হয়েছে।

দেশটিতে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হবার কিছুদিন পরই একটি দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৭২ সালের মে মাসে। থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তাতে ১০০ জনের মতো যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিল। তাদের একজন নিহত হয়েছে।

১৯৯২ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি এয়ারবাস অবতরণ করার জন্যে বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হবার সময় একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১৩ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হয়।

একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হয় আরও একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পিআইএর বিমানটি বিধ্বস্ত হলে বিমানের ভেতরে থাকা ১৬৭ জনের সবাই প্রাণ হারায়।

১৯৯৫ সালে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বেষ্টনী ভেঙে মাঠের ভেতরে ঢুকে যায়। তাতে দু'জন নিহত হয়।

ওই একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নেকন এয়ারের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একটি টাওয়ারের সাথে সংঘর্ষে কাঠমান্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি অরণ্যে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১০ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রুর সবাই নিহত হন।

২০১১ সালে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ১৯ জন আরোহীর মধ্যে একজন শুরুতে প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হলেও পরে হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় মারা যান। বলা হয় খারাপ আবহাওয়া ও নিচুতে থাকা মেঘের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

২০১২ সালে সিতা এয়ারের একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই সম্ভবত একটি শকুনের সাথে ধাক্কা খাওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জন আরোহীর সবাই মারা যান।

২০১৫ সালে তুর্কী এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ঘন কুয়াশার মধ্যে নামতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে। ৩০ মিনিট ধরে এটি বিমানবন্দরের উপর উড়তে থাকে। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় নামতে পারলেও সেটি রানওয়ের থেকে ছিটকে মাঠের ঘাসের উপর চলে যায়। ২২৭ জন যাত্রীকে সেখান থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।

২০১৭ সালের মে মাসে সামিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান এবং সবশেষ দুর্ঘটনার শিকার হলো ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি।

আরও পড়ুন:

এপি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিয়ের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
বেপরোয়া বাস ঢুকে পড়ল দোকানে, নিহত ১
ফরিদপুরের দুর্ঘটনার কারণ জানাল তদন্ত কমিটি
X
Fresh