• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাতি-ঘোড়া গেলো তল, এক বাঘেই হলো ফল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৫
ফাইল ছবি

পুলিশ-প্রশাসন, পোস্টার-হোর্ডিং থেকে বিজ্ঞাপন-সিনেমা কোনো কিছু দিয়েই দমাতে পারেনি সরকার। কিন্তু এক বাঘেই কেল্লাফতে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে কথা!

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গললাগোয়া গ্রামের মানুষ বাঘের ভয়ে আপাতত ঝোঁপে শৌচকর্মে যাচ্ছেন না। ঠেলায় পড়ে বহু দিনের অভ্যাস পাল্টেছেন তারা। লালগড় থেকে শালবনি, চাঁদড়া থেকে মুড়াকাটা—সব জায়গায় এক ছবি। খবর আনন্দবাজারের।

লালগড় লাগোয়া শালবনির লক্ষ্মণপুরে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। এই জঙ্গলে খাঁচাও পেতেছে বন দপ্তর। জঙ্গলঘেঁষা লক্ষ্মণপুরে বাড়ি সরস্বতী মাহাতোর। এতোদিনে টয়লেট ব্যবহার করছেন তিনি। বাঘের ভয়েই তবে ঝোঁপে যাওয়া ছাড়লেন? লাজুক হেসে সরস্বতীর জবাব, ছোটবেলার অভ্যাস তো! তবে বাঘের ভয় বড় ভয়। এখন আর বাড়ির বাইরে যাচ্ছি না।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সম্পত্তিতে সমঅধিকারের দাবিতে তিউনিসিয়ায় নারীদের বিক্ষোভ
--------------------------------------------------------

স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য সনৎ মাহাতো বলেছেন, বাঘের ভয়ে এই একটা লাভ হয়েছে। এতোদিন বুঝিয়ে-সুঝিয়েও যাদের টয়লেট ব্যবহার করানো যাচ্ছিল না, এখন তারা নিজে থেকেই টয়লেট ব্যবহার করছেন।

গুড়গুড়িপালের তপন তুঙ্গ বলেন, জঙ্গলে বাঘ ঘুরছে। তারপরে কোন সাহসে কেউ খোলা জায়গায় যাবে! বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছিল মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুচিবেড়ায়। সেখানকার উপপ্রধান অঞ্জন বেরারও স্বীকারোক্তি, জঙ্গলে বাঘ আসার পরে অনেকেই টয়লেট ব্যবহার শুরু করেছেন।

কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত মিশন আর রাজ্যের মিশন নির্মল বাংলায় কম প্রচার হয়নি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে। তারপর থেকে বছর বছর টয়লেট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে টয়লেট তৈরিও হয়েছে। কিন্তু ব্যবহারে ঘাটতি থেকে গেছে। বহু বাড়িতে প্যান উঠানে পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হয়েছে টাকাও।

কিন্তু এই নির্মল বাংলা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন ব্যাপক অভিযান ও প্রচারণা চালিয়েছে। ঝোঁপের আড়ালে কাউকে বসতে দেখলেই বিডিও আর পুলিশের টর্চের আলো দেখা গেছে। এমনকি হাতির আক্রমণে মৃত্যু রুখতে জঙ্গলে শৌচকর্মে যেতে নিষেধ করেছে বন দপ্তর। কিন্তু হুঁশ ফেরেনি।

তবে বাঘের আবির্ভাবে রাতারাতি ছবিটা পাল্টে গেছে। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলছিলেন, যতদিন না বাঘ ধরা পড়ছে, ততদিন গ্রামবাসীকে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গ্রামবাসী সহযোগিতাও করছেন।

রয়েল বেঙ্গল টাইগারই কী তবে মিশন নির্মল বাংলায় গতি আনছে? জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজিত মাইতির জবাব, মানুষ সচেতন হচ্ছেন। এটাই বড় কথা।

আরও পড়ুন:

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  
ভারত-পাকিস্তান সিরিজ প্রসঙ্গে রোহিতের সঙ্গে সুর মেলালেন আফ্রিদি
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যেদিন আসতে পারেন ঢাকায়
ভারত সিরিজ থেকে বাদ পড়লেন আম্পায়ার তানভীর
X
Fresh