• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী হতে পারেন সু চি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:১১

রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগত নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল ফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। খবর দ্য ইরাবতী, চ্যানেল ফোর নিউজের।

বুধবার চ্যানেল ফোর নিউজ তাদের ওয়েবসাইটে ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি প্রকাশ করে।

ইয়াংহি লি বলেছেন, গেলো আগস্টে রাখাইন রাজ্যে আরসা বিদ্রোহীদের হামলায় ১১ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ ঠেকাতে ব্যর্থ অং সান সু চিকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মুখোমুখি করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, দেশটিতে আরও গণকবরের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ইয়াংহি লি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: শিকাগোতে গাড়িচাপায় বাংলাদেশি নিহত
--------------------------------------------------------

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে’ সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে গণহত্যার সব উপাদান রয়েছে।

সু চির ভূমিকার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে লি বলেন, আমি মনে করি যে, তিনি হয় অস্বীকার (যা ঘটছে) করছেন বা মূল বিষয় থেকে তিনি অনেক দূরে রয়েছেন। তিনি বলেন, স্টেট কাউন্সিলর ‘দোষী সাব্যস্ত হবেন না’ তা হতে পারে না।

ইয়াংহি লি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সহযোগিতা বা অভিযান থামাতে অনীহার কারণে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন সু চি… আমিও ভীত।

তবে সু চিকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার সুযোগ কম বলে মনে করেন ইয়াংহি লি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য নয় মিয়ানমার। আর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন। তাই চীনের বাধার মুখে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে ঘোষণা দিতে পারবে না নিরাপত্তা পরিষদ।

এর আগে গেলো ডিসেম্বরে মিয়ানমার সরকার লিকে জানায়, তিনি মিয়ানমারে আর ফিরতে পারবেন না, তার মেয়াদে দেশটিতে তাকে সহায়তাও দেয়া হবে না। ওইসময় মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী তাকে জানায়, রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বমূলক।

তিনি অনেকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এমনকি তাকে পরিকল্পিত গুপ্তহত্যার চেষ্টার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। বলেও দাবি করেছেন ইয়াংহি লি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা লি বছরে অন্তত দুইবার মিয়ানমার সফর করে রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে সংস্থাটির মানবাধিকার পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয়বার মিয়ানমার সফর করেছেন তিনি।

তবে রাখাইনে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার।

আরও পড়ুন:

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পালিয়ে আসা ২৮৫ সীমান্তরক্ষীকে ফেরত নিচ্ছে মিয়ানমার
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
‘এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না’
X
Fresh