আদালতের আদেশ অমান্য মালদ্বীপ সেনাবাহিনীর, দুই এমপি আটক
মালদ্বীপে সরকার ও আদালত এখন মুখোমুখি। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার বা অভিশংসন করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন সরকার যেকোনো মূল্যে সেটি ঠেকানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
শুক্রবার মালদ্বীপের সর্বোচ্চ আদালত নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে বিচার অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে আদালত বিরোধী দলীয় নয় এমপিকে মুক্তি দিতে আদেশ দেন।
তবে ইয়ামিন সরকার আদালতের এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা করে।
এরপরই দ্বীপরাষ্ট্রটির অ্যাটর্নি জেনারেল প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।
রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল যখন এই সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখন সেনাবাহিনী ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার পাশে বসা ছিলেন।
অনিল বলেন, আমার ধারণা সুপ্রিম কোর্ট হয়তো প্রেসিডেন্টকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন।
তিনি বলেন, এমন কিছু ঘটতে পারে যা জাতীয় সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
অনিল আরও বলেন, প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো আদেশ অসাংবিধানিক ও অবৈধ। তাই আমি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বলেছে তারা যেন কোনো অসাংবিধানিক আদেশ পালন না করে।
এদিকে টেলিভিশনে এক সরাসরি অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সরকারকে রক্ষায় জীবন বাজি রাখার শপথ নিতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ বলেছেন, আদালতের আদেশ অমান্য করা সামরিক অভ্যুত্থানের শামিল।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা নাশিদ সরকার ও প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে তাৎক্ষণিক পদত্যাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সংবিধান সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন
এদিকে রোববার দুইজন বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা দেশে ফেরার পর তাদের আটক করে পুলিশ।
দেশটিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। ২০১৫ সালের ওই ঘটনার পরই মূলত দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
আদালত এসময় নাশিদকে অভিযুক্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে চিকিৎসার তিনি লন্ডনে গেলে সেখানে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়।
এ
মন্তব্য করুন