যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নারীদের ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েকলাখ নারী বিক্ষোভ করেছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের অভিষেকের পরদিন ট্রাম্পবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ করেছিলেন দেশটির নারীরা। সেই বিক্ষোভের বর্ষপূর্তিতে শনিবার ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলস, শিকাগোসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৫০টি শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেওয়া বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে নারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। খবর রয়টার্স, স্কাই নিউজ।
ডেমোক্রেট পার্টির সমর্থকরা ছাড়াও অভিনেত্রী, লেখিকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ এসব বিক্ষোভে অংশ নেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের নেওয়া বিভিন্ন নীতি নারীদের আঘাত করছে মন্তব্য করে তারা নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দিতে জনগণের প্রতিও আহ্বান জানান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নারীর অনুমতি ছাড়া স্পর্শ নিষেধ: দিল্লি আদালত
--------------------------------------------------------
লস অ্যাঞ্জেলসের র্যালিতে অংশ নেওয়া অভিনেত্রী ইভা লংগোরিয়া বলেন, ‘আপনার ভোটই আপনার অবস্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। যাদেরই ভোটের অধিকার আছে তাদেরই উচিত তা প্রয়োগ করা।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শহরেও নারীদের এমন বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প টুইটারে জানান, ‘আমাদের মহান দেশজুড়ে সুন্দর আবহাওয়া, সব নারীদের মিছিল করার জন্য এটি চমৎকার একটি দিন। গত ১২ মাসে যেসব ঐতিহাসিক অর্জন ও অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সফলতা এবং সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে তা উদযাপনে আপনারা বেরিয়ে আসুন। ১৮ বছরের নারী বেকারের হার এখনই সবচেয়ে কম।’
টেনেসির নক্সভিল থেকে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের বিক্ষোভে অংশ নিতে আসা ৩৯ বছর বয়সী আইনজীবী কেটি ও কনর বলেন, ‘আমি চাই ট্রাম্প চলে যাক। এ প্রশাসন নারীদের জন্য ভালো কিছু করবে এমনটা বিশ্বাস করি না।’
নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের করা উল্টোপাল্টা মন্তব্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে এদিন বিক্ষোভগুলোতে অংশ নেওয়া অসংখ্য নারী ‘পুসি হ্যাট’পরে আসেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। গত বছর নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে ওঠা এই টুপি ট্রাম্প বিরোধীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গত বছরের শেষ থেকে যৌন হয়রানি ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হওয়া ‘মি টু হ্যাশট্যাগ’ও ‘টাইমস আপ’ প্রচারণার মধ্যেই শনিবারের এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বক্তারা নারীর প্রতি হয়রানি রুখে দাঁড়ানোরও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের মধ্যে কেবল লস অ্যাঞ্জেলসের বিক্ষোভেই প্রায় ছয় লাখ নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন বলে শহরটির মেয়র এরিক গারসেটি জানিয়েছেন। শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্কে বিক্ষোভেও দুই থেকে তিন লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের জমায়েত গতবারের চেয়ে কম হলেও এদিনের বিক্ষোভে ডেমোক্রেট পার্টির অনেক নেতাকে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:
এপি/পি
মন্তব্য করুন