• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

হাতিটিকে কাঁধে তুলে প্রাণ বাঁচালেন শরৎকুমার

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৪

হঠাৎ দলছুট হয়ে গর্তে পড়ে যায় ছোট্ট হাতি শাবক। মায়ের সঙ্গে বনে বেড়াতে বের হয়েছিল। ছোট্ট হলেও ওজনে ভারী নাদুস-নুদুস শাবকটি ওই গর্ত থেকে বের হওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও যখন কোনো কূল পাচ্ছে না, তখনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এগিয়ে এলেন বনরক্ষী পালানিচামি শরৎকুমার । কালবিলম্ব না করে, সর্বশক্তি প্রয়োগে এক ঝটকায় হাতি শাবককে তুলে নিলেন কাঁধে। এরপর নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে ছেড়ে দিলেন।

তবে তিনি যে কাজটি করেছেন তা কত মহৎ ছিল তা বুঝতে পারলেন যখন এই সংবাদটি টেলিভিশনে প্রচারিত হলো। ধন্য ধন্য পড়ে গেলো তার নামে। এখন দক্ষিণ ভারতে রীতিমতো তারকা বনে গেছেন শরৎকুমার।

শরৎকুমার দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের একটি বনের রক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ওটি পার্বত্য স্টেশনের ৫০ কিলোমিটার ভেতরে মেত্তুপালায়াম স্টেশনের একটি দলের সদস্য।

শরৎকুমার জানান, ১২ ডিসেম্বর তিনি রাতের পালা শেষে বাড়ি ফেরার সময় খবর পান বনভদ্র কালি মন্দিরের কাছে হাতির পাল একটি রাস্তা অবরোধ করে আছে। তিনি সঙ্গীদের নিয়ে সেখানে যান, আগুন জ্বালিয়ে হাতি তাড়িয়ে বনে ফেরত পাঠান। কিন্তু মায়ের সঙ্গে থাকা একটি শাবক গর্তে পড়ে হাঁসফাঁস করছিল।

এ সময় এগিয়ে গিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে শাবকটি গর্ত থেকে তুলে কাঁধে নেন। পরে তা ছেড়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে তারকাখ্যাতি পেয়ে যান শরৎকুমার।

তিনি বলেন, কারো সঙ্গে দেখা হলেই জানতে চায় কীভাবে হাতিটি উদ্ধার করলাম, অত ভার কীভাবে বহন করলাম? জবাবে তিনি জানান, উদ্ধারের সময় অতকিছু তিনি ভাবেননি, তবে টাল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন; সে সময় সহকর্মীরা তার ভারসাম্য রক্ষা করেন। তিনি আরো জানান, তারা হাতির শাবকটিকে ৫০ মিটার দূরত্বে নিয়ে ছেড়ে আসেন। এরপরও মা হাতিটি শাবকটিকে নিতে আসছিল না।

অনেক দেরি করেও তারা শাবকটির কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি। তবে পরদিন গিয়ে শাবকটিকে মায়ের সঙ্গে দেখতে পান।

হাতি শাবককে বাঁচিয়ে দারুণ খুশি শরৎকুমার। এজন্য সবাই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh