• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ছয় শতাধিক রোগ-জীবাণু বহন করে মাছি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১২

মাছি বিভিন্ন ধরনের ছয় শতাধিক রোগ-জীবাণু বহন করে। মাছির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। এর মধ্যে অনেক জীবাণু মানুষের শরীরে সংক্রমণের জন্য দায়ী; যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখের জন্য দায়ী জীবাণু, রক্তে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন জীবাণু এবং নিউমোনিয়ার জীবাণু। খবর বিবিসি।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাছি এসব জীবাণু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তাদের পা আর ডানার মাধ্যমে। গবেষকরা বলছেন, মাছি তার প্রত্যেকটি পদচারণায় জীবন্ত জীবাণু ছড়াতে সক্ষম।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক ডোনাল্ড ব্রায়ান্ট জানান, ‘মানুষের একটা ধারণা সবসময়ই ছিল মাছি রোগজীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এই ধারণার বাস্তব ভিত্তি কতটা? আসলেই মাছি কতটা ব্যাপকভাবে রোগ-জীবাণু বহন করে এবং তা ছড়ায় সেটা জানা ছিল না।’

এই গবেষণায় ডিএনএ বিন্যাস পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘরের মাছি ও নীল মাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা আণুবীক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা হয়।

দেখা যায়, মাছি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে এবং তা ৩৫১ ধরনের রোগ-জীবাণু বহন করে।

আর নীল মাছি যা দেখা যায় মূলত গরম দেশে, তা ৩১৬ ধরনের রোগ-জীবাণু বহন করে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জীবাণুই দুই ধরনের মাছি বহন করে।

সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামে একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, রোগ-জীবাণু ছড়ানোর জন্য মাছি কতটা দায়ী সে বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যথেষ্ট অবগত নন।

বলেন প্রফেসর ব্রায়ান্ট বলেন, ‘আমাদের ধারণা, জীবাণু সংক্রমণে মাছির ভূমিকা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে কখনো দেখেননি এবং কোন রোগব্যাধি মহামারি আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মাছির ভূমিকা অর্থাৎ মাছি কত দ্রুত রোগ-জীবাণু ছড়াতে সক্ষম তা নিয়ে যথাযথ গবেষণাও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘খোলা জায়গায় অনেকক্ষণ পড়ে থাকা খাবারটা আপনি খাবেন কী না, এটা কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।’

মাছি অস্বাস্থ্যকর একথা নতুন নয়। তারা আবর্জনাস্তুপে উড়ে বেড়ায়। পচা খাবার, মরা জীবজন্তুর দেহ এবং বর্জ্য পদার্থই তাদের চারণভূমি। মানুষের শরীরে নানাধরনের রোগব্যাধি এমনকি জীবজন্তু ও গাছের মধ্যেও নানা রোগ ছড়ানোর কারণ মাছি।

মরা পশুপাখির শরীরের কাছে বেশি নীল মাছি উড়তে দেখা যায়। শহর এলাকায় নীল মাছি চোখে পড়ে বেশি। মাংসের দোকান, পশু জবাইয়ের জায়গা এবং আবর্জনাস্তুপের কাছে নীল মাছির উপদ্রব বেশি।

এপি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিআইডব্লিউটিএ-বিআইডব্লিউটিসির ক্রয় পরিকল্পনা উপস্থাপনের নির্দেশ
পল্টনে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা
২ শতাধিক ড্রোন-মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলা
গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত শতাধিক
X
Fresh