ফিল্মি স্টাইলে স্বামী খুন!
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করে জঙ্গলে ফেলে এলো স্ত্রী। অ্যাসিড ঢেলে বিকৃত করা হল প্রেমিকের মুখও। তারপরে প্লাস্টিক সার্জারি করে হুবহু নিহত ওই ব্যক্তির মুখ পেয়ে গেল প্রেমিক। স্বামী পড়ে রইলো। অথচ পূরণ হয়ে গেল প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাতার স্বপ্ন।
এমন প্লট বহু ছবিতে বহু বার ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু রূপালি পর্দা থেকে ওই প্লটকে বাস্তবে নামিয়ে আনলেন এক গৃহবধূ। ছক মেনে সব ঠিকমতোই এগোচ্ছিল। তবে শেষটা ছবির সঙ্গে মেলার আগেই সব গোলমাল হয়ে গেল।
পুলিশ জানায়, ভারতের তেলেঙ্গানার নগরকুর্নুল জেলার ওই ঘটনায় রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বাতী রেড্ডি নামের এক নারীকে।
পুলিশ জানায়, কয়েক বছর হল সুধাকর রেড্ডির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বাতীর। কিন্তু স্বাতীর স্বপ্ন ছিল, প্রেমিক রাজেশের সঙ্গে সংসার করার। ওই অবস্থায় হঠাৎই উপায় বাতলে দেয় তেলেগু ছবি ‘ইয়েভারু’। সেই মতো রাজেশের সঙ্গে মিলে ঘুমন্ত স্বামীর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন করেন স্বাতী। এর পরে দেহটি পাশের জঙ্গলে ফেলে জ্বালিয়ে দেন তারা।
ছকের দ্বিতীয় ধাপ ছিল সুধাকরের মুখের আদলে রাজেশের মুখ বদলে ফেলা। পুলিশ জানায়, অ্যাসিড ঢেলে প্রথমে রাজেশের মুখ বিকৃত করেন স্বাতী। তারপর সুধাকরের পরিবারকে ফোন করে জানান, স্বামীর উপরে অ্যাসিড হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন নিহতের বাবা-মা। বড় হাসপাতালে শুরু হয় রাজেশের চিকিৎসা। প্লাস্টিক সার্জারির পিছনে ৫ লাখ রুপি খরচও করা হয়। কিন্তু ‘ছেলের’ সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খটকা লাগে মা-বাবার। এরপরেই পুলিশে খবর দেন তারা। তদন্তকারীকে তারা জানান, পুরনো কোনো কথাই বলতে পারছে না ছেলে। বদলে গিয়েছে তার ব্যবহার আচরণও।
সুধাকরের বাবা-মা অভিযোগ জানালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাতীকে আটক করে পুলিশ। জেরার মুখে ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেন স্বাতী। জানান, যিনি হাসপাতালে ভর্তি, তিনি সুধাকর নন, তার প্রেমিক রাজেশ। এরপরেই জঙ্গল থেকে সুধাকরের পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ছবি দেখে কেউ এমন অপরাধ করছে, ভাবা যায় না। তিনি জানান, রাজেশের অবস্থার উন্নতি হলে তাকেও হেফাজতে নেয়া হবে।
এ/এসআর
মন্তব্য করুন