• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোহিঙ্গা পুশব্যাকে বিএসএফের ডিজিকে মমতার ধমক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৯

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করার কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠলেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করার কেন্দ্রীয় নীতি নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এই ঘটনাটি ঘটে। সূত্র আনন্দবাজার।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সির প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বিএসএফের ডিজি কৃষ্ণকুমার শর্মা রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করার কথা বলায় তাকে ধমক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদানুবাদ শুরু হতেই রাজনাথ তাতে বাধা দেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তের পরিস্থিতি অলোচনা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করেন। এই আলোচনার প্রধান বিষয় রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় নীতি প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি শর্মা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। তাদের ধরে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে গেলে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। সে কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্তে ধরা পড়লে তাদের সঙ্গে সঙ্গে পুশব্যাক করার নীতি নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে কয়েকশ রোহিঙ্গাদের এভাবে পুশব্যাকও করা হয়েছে।

তখন তার এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, এভাবে কেন পুশব্যাক করা হচ্ছে! এটা কোনো মানবিক নীতি হতে পারে না। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে। মানবিকভাবেই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

দমদম জেলে ৪৪ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বেশ কয়েকটি হোমেও মহিলা ও শিশু রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে তাদের কোনোভাবেই পুশব্যাক করা হবে না। এমন অমানবিক কাজ রাজ্য করবে না বলে তিনি জানান।

এরপরও পুশব্যাকের নীতিতে অনড় থাকেন বিএসএফের এই ডিজি। তিনি পাল্টা কিছু বলার চেষ্টা করলে তাকে ইশারায় চুপ করতে বলেন রাজনাথ। চুপ করে যান তিনি। তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনো রাজ্য এই রোহিঙ্গা নীতি নিয়ে কোনো সাড়া-শব্দ করেনি।

যদিও বৈঠক শেষে রাজনাথ বলেন, যেকোনো অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফ সতর্ক রয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে হবে।

উল্লেখ্য, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে বেশকিছু রোহিঙ্গাকে ইতিমধ্যেই পুশব্যাক করা হয়েছে। এ রাজ্যের স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে ১২ অক্টোবর ১৬ জন রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। যদিও মায়ানমার থেকে আসা ১৩০০ বৌদ্ধ শরণার্থীদের আশ্রয় এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মিজোরামের লনঙ্গতলাই জেলার কেন্দ্র। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন হোমে থাকা রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘের পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল নবান্ন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা রাজ্যের মুখ্যসচিব পরিচয়পত্র দেওয়া বন্ধ করতে বলেন। তারপর রোহিঙ্গাদের আর পরিচয়পত্র দেয়া হয়নি। এবার বিরোধ হলো পুশব্যাক নিয়ে।

এন/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
পাকিস্তানে নয়, ‘হাইব্রিড’ মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
X
Fresh