• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মিয়ানমারে নতুন করে সংঘর্ষ, ভারতে ঢুকছে স্থানীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯

রাখাইন রাজ্যের চলমান সংকট নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে তোপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। এরই মধ্যে নতুন সমস্যায় পড়েছে দেশটি। শিন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিদ্রোহী ও দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের কবলে পড়ে রাজ্যের প্রায় এক হাজার ৩০০ বাসিন্দা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, পুরুষ, নারী ও শিশুরা দক্ষিণ মিজোরামে রাজ্যের পাহাড়ি এলাকার চারটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়রা তাদের আশ্রয় ও ত্রাণ দিচ্ছে।

গণমাধ্যমটি আরো জানায়, শিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের পালেতওয়া এলাকায় আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকশ’ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মিজোরামে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ওই নাগরিকরা বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী; যারা দক্ষিণ মিজোরামের বাসিন্দাদের মতোই আদিবাসী ভাষায় কথা বলে।

মিজোরামের লংলাই জেলার এক কর্মকর্তা জানান, শিন রাজ্যের অস্থিতিশীলতায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার ঘটনা গত কিছুদিনের মধ্যে চারবার ঘটলো।

চলতি মাসের শুরুর দিকে শিন রাজ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পালেতওয়া এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যদের সঙ্গে ওই সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অন্তত ১১ সদস্য নিহত ও আরো ১৪ জন আহত হয়।

গত ৯ নভেম্বর মিয়ানমারের গণমাধ্যম দি ইরাবতি দেশটির সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, হতাহতের ওই ঘটনা ঘটেছে কালাদান নদীতে একটি নৌকাকে লক্ষ্য করে আরাকান আর্মির গোলা নিক্ষেপের পর।

রাখাইনের পার্শ্ববর্তী এই রাজ্যে গত ৮ নভেম্বর থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। পালেতওয়ার পাশের দুটি গ্রামে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মিয়ানমারে ২৫ আগস্ট সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই শিশু।

রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি(এআরএসএ) বেশ কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে ১২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

পরে দেশটির রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ নিহত হয়। ধর্ষণের শিকার হয় অনেক নারী। গ্রামের পর গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেয় দেশটির সরকারি বাহিনী।

এরপর লাখো রোহিঙ্গা শিশু-নারী-পুরুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে। এদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে নদী ও সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হন।

ওয়াই/কে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
X
Fresh