• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাকিস্তানে টিভি চ্যানেলসহ ফেসবুক ইউটিউব টুইটার ইনস্টাগ্রাম বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:১৪

পাকিস্তানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া- ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ। এছাড়া বিক্ষোভ স্থল এবং এর আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।

সহিংস বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে, ডেইলি মোশন, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম কবে খুলে দেয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে তা বলা হয়নি। খবর ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রাজধানীর ফাইজাবাদের অবস্থান কর্মসূচি বন্ধে চলমান অভিযান সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শনিবার বিকেলে নোটিশ জারি করে পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেরমা)।

এরপরই বেশির ভাগ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। কয়েকটি চ্যানেলে এমন বার্তা প্রচার করা হয়, পেরমার নির্দেশনার কারণে চ্যানেলের সম্প্রচার স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া দেশের বেশকিছু অংশে ফেসবুক, ইউটিউব, ডেইলি মোশন, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

পেরমার মুখপাত্র জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরই চ্যানেলগুলো সম্প্রচার শুরু করতে পারবে। তবে কতক্ষণ এই সম্প্রচার বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির একটি সূত্র ডন-কে জানায়, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির স্পর্শকাতর অবস্থা বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভ স্থল এবং এর আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেটও সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও জানায় পিটিএ।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অল পাকিস্তান নিউজ পেপারস সোসাইটি (এপিএনএস)। আর সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ নাগরিকরা।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীকে যে শপথ নিতে হয় তাতে সংশোধনী এনে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নাম সংক্রান্ত অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তেহরিক-ই-লাবায়েক ইয়া রাসুল্লাহ পাকিস্তান (টিএলওয়াই)।

বিক্ষোভকারীরা এটিকে ব্লাসফেমি আইনের সঙ্গে জড়িয়ে আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের পদত্যাগ দাবিতে গত ৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন। অথচ এর আগেই এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলা হয়, এটি একটি ছোট্ট ভুল যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মচারীর কারণে হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মেট্রোবাস চলাচল বন্ধ ছিল আন্দোলনের শুরু থেকেই। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ আসতে থাকে। এমনকি আদালত এই আন্দোলনকে অবৈধ ঘোষণা করে।

সরকারও দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু শনিবার ছিল শেষ আল্টিমেটাম। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভকারীরা না সরায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সাড়ে আট হাজার সদস্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

এতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া পুলিশসহ বেশ কিছু লোক আহত হন।

এপি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান
পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায় : মির্জা ফখরুল
‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
X
Fresh