• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিশ্বসেরা জেনারেল ইলেকট্রিক এখন ‘ভাঙা ট্রেন’

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১২

দীর্ঘ ১২ দশক ধরে মার্কিন অর্থনীতির একটা বড় জায়গা দখল করে আছে জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)। ১৯৩০ সালের মহামন্দা, ২০০০ সালের মন্দা ও ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপি আর্থিক মন্দার ধাক্কা কৌশলে পার করলেও এখন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন সংকট কাটিয়ে উঠতে কোম্পানিটির কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হচ্ছে, কোম্পানিটির ঘাড়ে যেন পুরানো ভূত চেপেছে। কিংবদন্তি দুই প্রধান নির্বাহী জ্যাক ওয়েলস ও জেফ ইমেল্ট একসময় যেসব সমস্যা কাটিয়ে কোম্পানিটিকে সাফল্যের সারিতে এনেছিলেন, সেগুলোই নতুন করে ভোগাচ্ছে।

জ্যাক ওয়েলস আশির দশকে কোম্পানিটির দায়িত্ব নেন । নানা আর্থিক জটিলতা মোকাবেলা করে তিনি ২০০০ সালের শুরু পর্যন্ত সফলতার ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। তার সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

ওই সময়ে কোম্পানিটি একটি বড় ব্যাংক ও ব্রড কাস্টিং জায়ান্ট এনবিসি অধিগ্রহণ করে।

অতীতের ওই পদক্ষেপগুলোই এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৈরি করছে নতুন নতুন জটিলতা। বাড়াচ্ছে পেনশন চাপের মতো সমস্যাও।

যা এখন কোম্পানিটির শেয়ারে সম্মিলিতভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে তিন লাখ কর্মী এবং কয়েক লাখ শেয়ারহোল্ডারকেও।

সিএনএন তাদের বিশ্লেষণে বলছে, এসব সমস্যার সবই এক সময় জেনারেল ইলেকট্রিকের নিজের তৈরি করা। যা এখন ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক হিসাবে দেখা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর কোম্পানিটির বাজার মূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হারিয়েছে। যা তিন খাতের বড় বড় কোম্পানি ফোর্ড, ডেল্টা ও ইউনাইটেড কন্টিনেন্টালের যৌথ মূল্যের চেয়ে বেশি।

বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে এখনো সামনের সারিতে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারে শুধু এ বছরই পতন হয়েছে ৪২ শতাংশ। লভ্যাংশ দেওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক খবরের পর গেলো সপ্তাহে শেয়ারদর ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়।

সম্প্রতি কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ব মহামন্দার পর এটাই লভ্যাংশ কমিয়ে দেয়ার দ্বিতীয় ঘটনা। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, লভ্যাংশ প্রদানের এই হার আরো কমে যাবে। কারণ কোম্পানিটির নগদ প্রবাহ ভয়াবহ পর্যায়ে।

সিএনএনের খবরে জেনারেল ইলেকট্রিককে এখন একটি ট্রেনের ভাঙ্গা অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আরো বলা হয়, এটি ঠিক করার কোনো সহজ উপায় নেই।

এদিকে কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা সমাধানে আনা হয় জন ফ্ল্যানারিকে। তিনি অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেন।

তবে তিনি বলেছেন, সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এর জন্য কোম্পানিটির কিছু শেয়ার ছেড়েও দিতে হতে পারে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানিটির বাংলাদেশেও ব্যবসা রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কোম্পানিটি। এছাড়া তারা স্বাস্থ্য, জ্বালানি, বিমান চলাচলসহ বিভিন্ন খাত নিয়ে কাজ করছে।

এসআর/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh