বাংলাদেশের জনগণকে পোপের শুভেচ্ছা বার্তা
কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণকে আমি শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের বার্তা জানাতে চাই। আমি অপেক্ষায় আছি সেই সময়ের, যখন আমরা মিলিত হব। বললেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
বাংলাদেশ সফরে আসার আগে ভিডিওতে শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। বার্তাটি আজ মঙ্গলবার ভ্যাটিকান রেডিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশে বসবাসকারী খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীদের আর্শিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।
ভিডিও বার্তায় পোপ বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলিত হতে এবং তাদেরকে যিশুর পুনর্মিলন, ক্ষমা এবং শান্তির বাণী শোনানোর অপেক্ষায় আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ৩১ বছরে কোনো পোপের এটাই হবে প্রথম বাংলাদেশ সফর। পোপকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে।
পোপ বলেছেন, আপনাদের সঙ্গে আমার দিনগুলো যেনো আশা এবং অনুপ্রেরণাদায়ী হয়ে ওঠে সেজন্য আমি সবাইকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রীয় সফরের পাশাপাশি ক্যাথলিকমণ্ডলীর প্রধান ধর্মগুরু ও প্রধান পালক হিসেবে তিনি (পোপ ফ্রান্সিস) খ্রিস্টান সমাজের নিকট পালকীয় সফর করবেন।
এছাড়া নাগরিক সমাবেশেও অংশগ্রহণ, বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়, চার্চ, সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতেরও সূচি রয়েছে তার।
বাংলাদেশে আসার আগে ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর তিনি মিয়ানমার সফর করবেন।
১৯৮৬ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পলের পর ফ্রান্সিসই প্রথম পোপ, যিনি বাংলাদেশে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান।
পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।
ওয়াই/ এমকে
মন্তব্য করুন