আহত ফিলিস্তিনিকে হত্যা
ইসরায়েলি সেনার সাজা মওকুফের আবেদন নাকচ
আহত এক ফিলিস্তিনিকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক ইসরায়েলি সেনার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রুবেন রিভলিন। অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে এক ফিলিস্তিনিকে হত্যার দায়ে ইসরায়েলের একটি সেনা আদালত এলোর আজারিয়া নামে ওই সেনাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়। খবর বিবিসির।
গেলো বছরের মার্চে আব্দুল ফাতাহ আল-শরিফ নামে ২১ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করে আজারিয়া। পরে এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে ওই অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে এই শাস্তি দেয় আদালত।
রোববার প্রেসিডেন্ট অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রুবেন রিভলিন ওই সেনাসদস্য আজারিয়ার ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিভলিন ঘটনাকালীন সময়ে আজারিয়ার অপরাধের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১৬ সালের ২৪ মার্চের ওই ঘটনার সময় আজারিয়ার সময় ছিল ১৯ বছর। তিনি আব্দুল ফাতাহ আল-শরিফকে মাথায় গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আহত শরিফকে আবারো মাথায় গুলি করে হত্যা করেন আজারিয়া।
শরিফ ও তার সঙ্গী রামজি আজিজ আল-কাসরাউয়ি একজন ইসরায়েলি সেনাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ইসরায়েলের সৈন্যরা।
এসময় কাসরাউয়ি ঘটনাস্থলেই মারা যায় কিন্তু শরিফ আহতাবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পড়ে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আজারিয়া কয়েক মিটার দূরত্ব থেকে শরিফের মাথায় আবারো গুলি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও আজারিয়াকে ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এর আগে গেলো জুলাইয়ে আজারিয়ার শাস্তি বাতিলের একটি আবেদন খারিজ করে দেয় দেশটির এক সেনা আদালত।
ইসরায়েলিদের মধ্যে এই মামলার রায় নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে বেআইনিভাবে কাউকে হত্যা করা হলে এর জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন