• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাহায্য পেতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে দেরি করছে বাংলাদেশ : মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৪

মিয়ানমার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে দেরি করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে লাখ লাখ অর্থ সাহায্য পেতেই এমনটি করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটি। খবর রয়টার্সের।

মিয়ানমার সরকারের বেসামরিক অংশের প্রধান অং সান সু চির মুখপাত্র জ হতয়ে বলেন, মিয়ানমার প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করতে যেকোনো সময় প্রস্তুত। তবে সেটা ১৯৯০’র দশকে করা প্রত্যাবর্তন চুক্তি মেনেই হতে হবে।

তবে বাংলাদেশ এখনো এ সব শর্ত মেনে নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অফিসের মহাপরিচালক জ হতয়ে মঙ্গলবার বলেন, আমরা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। কিন্তু অন্য পক্ষ (বাংলাদেশ) আমাদের শর্ত মেনে নেয়নি। তাই এই প্রক্রিয়া আটকে গেছে। এটিই আসল বাস্তবতা।

গেলো সপ্তাহে বর্ডার লিয়াজো অফিস স্থাপন নিয়ে নেইপিদোতে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে উভয় দেশের মধ্যে পুরোনো চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে খুব একটা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।

বাংলাদেশে বড় ধরনের শরণার্থী ক্যাম্প তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জ হতয়ে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকায় জ হতয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩শ’ ২০ কোটি টাকা পেয়েছে। তাই এই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো দেরি হতে পারে বলে আমরা মনে করি।’

তারা আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পাচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি তারা হয়তো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নতুন করে ভাবছে।

এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেইপিদোতে যে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তার কোনোটিতেই সম্মত হয়নি মিয়ানমার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আনান কমিশনের করা সুপারিশও।

পরের দিন শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষ একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। তবে ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী’র মিয়ানমার সফরের আগেই এটি গঠন করা হবে।

মিয়ানমার বলছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারেই বসবাস করত এমনটা প্রমাণিত হলেই তাদেরকে গ্রহণ করবে দেশটি।

জ হতয়ে আরো বলেছেন, তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা চৌকিতে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার পর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। এ ঘটনায় ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না’
পালিয়ে এলেন মিয়ানমারের আরও ৪৬ সীমান্তরক্ষী
নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে রাতে বাংলাদেশে ঢুকল বিজিপির ৫০ সদস্য
মিয়ানমারের আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
X
Fresh