দাউদ ইব্রাহিমের ‘দিল্লি জাইকা’ নিলামে
আবার নিলামে উঠতে চলেছে ভারতের গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তি। মুম্বাইয়ের দাউদের সম্পত্তি রৌনক-আফরোজ যা ‘দিল্লি জাইকা’ বলে পরিচিত এবং সঙ্গে আরো পাঁচটি সম্পত্তি সবই নিলাম করা হবে।
দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছেন। গেলো দুই দশকে এ নিয়ে চারবার বিশ্বের অন্যতম এ ধনী ডনের সম্পত্তি নিলামে উঠছে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলোর মতে, আসছে ১৪ নভেম্বর দাউদের মুম্বাই ও ঔরঙ্গাবাদের ফ্ল্যাটসহ মোট ছয়টি সম্পত্তির নিলামের কাজ শুরু করা হবে। যার মূল্য ৫.৫৪ কোটি টাকা।
এছাড়াও ইয়াকুব স্ট্রিটের শবনম গেস্টহাউস, মাজগাঁওয়ের পার্ল হারবার বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাট এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলায় কারখানার জমি সবই দাউদের সম্পত্তি।
ইয়াকুব স্ট্রিটে থাকা দাউদের শবনম গেস্টহাউসের সংরক্ষিত মূল্য ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। দাউদের ভাই ইকবাল ও বোন হাসিনা পার্কার এই সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন।
আগেরবারের নিলামে মুম্বাইয়ের একটি হোটেল রৌনক-আফরোজ কেনার জন্য এক সাংবাদিক ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা দাম দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ওই টাকাটি জমা দিতে পারেননি।
ফোর্বসের মতে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত দাউদের আয় ছিলো ৬.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ব্যবসাভিত্তিক এ ম্যাগাজিনটি আরো জানায়, ব্যাপক ক্ষমতা বলে শুধু মাত্র ইংল্যান্ডেই ৪.৫ মিলিয়ন সম্পদ আছে তার। যদিও ব্রিটিশ সরকার সেখানে থাকা দাউদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এছাড়া ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় তার সম্পদ রয়েছে। সবচে’ মজার তথ্য হচ্ছে দাউদের আয়ের ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
হীরা থেকে নকল টাকা। বৈধ থেকে অবৈধ অনেক ব্যবসাই করেন দাউদ। ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, জার্মানি, তুরস্ক, ফ্রান্স, স্পেন, মরক্কো, সাইপ্রাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে তার ব্যবসা রয়েছে।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ছিল দাউদ ইব্রাহিম। ওই হামলায় ২৫৭ জন নিহত হয়েছিল, আহত হয়েছিল অন্তত ১ হাজার মানুষ।
এ ঘটনার পরপরই ভারত ছেড়ে দুবাই পাড়ি জমান এই মাফিয়া ডন। ভারতের দাবি, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) মদদে বর্তমানে করাচিতে নিজের প্রাসাদে পরিবার নিয়ে অবস্থান করছেন দাউদ।
ওয়াই/জেএইচ
মন্তব্য করুন