• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইইউ’র আমন্ত্রণ পাবে না মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তারা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৩৮

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় আমন্ত্রণ না জানানোসহ আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) কাউন্সিল।

সোমবার লুক্সেমবার্গে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসময় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

ইইউ’র প্রথম সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, রাখাইনে মানবিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবস্থা শোচনীয়। সেখানে ধারাবাহিকভাবে গোলাগুলি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সহিংসতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে পারে, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্তে সব ধরনের সহিংসতা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। সংস্থাটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অভিযান বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে। একইসঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার জন্য সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছে ইইউ।

তৃতীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের জুন মাসে মিয়ানমারের বিষয়ে নেয়া কৌশলের ক্ষেত্রে ইইউ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো অটল আছে। মূলত দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণ, শান্তি, জাতীয় সমন্বয় ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলো সমর্থন করে ইইউ। উপদেষ্টা কমিশন রাখাইন রাজ্যের ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করেছে, সেগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে মিয়ানমারের সরকারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত ইইউ।

চতুর্থ সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তাঁর এ বক্তব্যকে ইইউ স্বাগত জানায়। শিশুদের ওপর নিষ্ঠুর হামলাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক অভিযোগগুলোর বিশদ তদন্ত করা উচিত।

পঞ্চম সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে শরণার্থীদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে, ইইউ তার প্রশংসা করেছে।

ষষ্ঠ সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সামঞ্জস্যবিহীন বলপ্রয়োগের ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের কোনো প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় আমন্ত্রণের বিষয়টি বাতিল করা হবে। অন্তর্বর্তী নিপীড়নে ব্যবহার করা যায়, এমন অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের ওপর বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ইইউ। পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে বাড়তি পদক্ষেপও নিতে পারে কাউন্সিল।

সপ্তম সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, কাচি ও শান রাজ্যের মানুষের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও ইইউ উদ্বিগ্ন। সেখানেও মানবিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন এবং ওই সব এলাকায় প্রবেশাধিকার দিতে মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইইউ।

অষ্টম সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ২০-২১ নভেম্বর মিয়ানমারে অনুষ্ঠেয় আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইইউ মিয়ানমারের সরকার ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে চায়।

কে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh