‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ হারালেন সু চি
১৯৯৭ সালে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ পেয়েছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। সোমবার ‘অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল’ জানায় সু চি আর এই সম্মান ধারণের উপযুক্ত নন। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় প্রাণ বাঁচাতে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা নিয়ে নীরব ভূমিকার কারণে এই সম্মাননা হারালেন সু চি।
রোহিঙ্গাদের ওপর এই সহিংসতাকে ‘জাতিগত নিধনের’ চেষ্টা হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ। সেখানে ‘গণহত্যা’ চলছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জানিয়েছে।
এর আগে গেলো মাসে ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন- ইউনিসন সু চিকে দেয়া তাদের সম্মাননা স্থগিত করে।
গত সপ্তাহে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ কলেজ থেকে সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে নেয়া হয়। কলেজটির মূল ভবনের প্রবেশ পথে থাকা তার ছবির জায়গায় জাপানি একজন চিত্রকরের চিত্রকর্ম বসানো হয়েছে।
সেন্ট হিউ কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন সু চি। তার স্বামী ড. মাইকেল অ্যারিস এক সময় ওই কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। সু চি গৃহবন্দী হবার পর ১৯৯৩ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয় অক্সফোর্ড। ওই ডিগ্রি তিনি গ্রহণ করেন মুক্তি পাওয়ার পর ২০১২ সালে।
গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান সু চি।
এপি/এমকে
মন্তব্য করুন