রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
ফের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আজ (বৃহস্পতিবার) নিউইয়র্ক সময় দুপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নিরাপত্তা পরিষদ আজ উন্মুক্ত বিতর্কে মিলিত হচ্ছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে। এমন সময় এ বৈঠক হচ্ছে, যখন মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোর দাবি উঠেছে।
মিয়ানমার সরকার ও দেশটির নিপীড়ক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ আশা করছেন সবাই। কিন্তু চীনসহ দু-একটি দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে এ প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চাপ তীব্রতর করতে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও আমেরিকা।
নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এ নিয়ে এক মাসে তিন দফা বৈঠকে হচ্ছে। এর আগেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দু’দফা আলোচনা হয়েছে।
সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এতে দীর্ঘ ৯ বছর পর নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তবে অনেকেই নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করছেন যে তারা গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এ সমস্যার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান চাইতে উদগ্রীব বাংলাদেশ। বৈঠকে মিয়ানমারও বক্তব্য দিতে পারে। বাংলাদেশও মুক্ত বিতর্কে অংশ নেবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব পেশ করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বৈঠকের আগে প্রস্তুতিমূলক এ রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ রাষ্ট্রদূত জোনাথন অ্যালেন বলেছেন, সহিংসতা যাতে বন্ধ হয়, সেজন্য মিয়ানমারকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে।
আজকের বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সমস্যার সবশেষ চিত্র তুলে ধরবেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
এপি /জেএইচ
মন্তব্য করুন