• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৭ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকল উঁচু ভবন, কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৬

মঙ্গলবার ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি। এ ভূমিকম্পে প্রায় আড়াইশো লোকের মৃত্যু হয়। এতে কিছু ভবন ধসে পড়লেও অনেক ভবন অক্ষত ছিল।

দেখা গেছে, যে ভবনটি ধসে পড়েছে তার ঠিক পাশের ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে। এমন চারটি কারণ জানিয়েছে বিবিসি।

প্রথমত, শহরের সব জায়গায় মাটি এক রকম নয়। শহরের একটি বড় অংশ গড়ে উঠেছে প্রাচীন হ্রদ থেকে উঠে আসা মাটির গঠনের সাহায্যে। এর ফলে অনেক জায়গায় মাটি আলগা। এ ধরনের মাটি ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প হলে এ ধরনের মাটি বেশি নড়াচড়া করে। ফলে এ মাটির উপর তৈরি করা ভবন ভূমিকম্পের সময় বেশি দুলতে থাকে। যেসব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মাটির গঠনের কারণে হয়েছে নাকি ভবন তৈরির দুর্বলতার কারণে হয়েছে সেটি বলা মুশকিল।

দ্বিতীয়ত, ১৯৮৫ সালের ভূমিকম্পের পর মেক্সিকোতে ভবন তৈরির নীতিমালা বা বিল্ডিং কোড সংশোধন করা হয়। ১৯৮৫ সালের সে ভূমিকম্পে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ৩০ হাজার বিল্ডিং ধসে পড়ে এবং আরো ৬৮ হাজার বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ভবন তৈরির নীতিমালা সংশোধন করা হয়।

সে নীতিমালায় বলা হয়েছিল ভবন তৈরির সময় মাটির গুনাগুণ বিবেচনা করতে হবে। শহরের কোন এলাকার মাটি কেমন সেটি পরীক্ষা করতে হবে। মাটির গুনাগুণ বিবেচনা করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কিনা সেটি যথাযথ তদারকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে নীতিমালায়। কিন্তু সে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেটি পরিষ্কার নয়।

তৃতীয়ত, মেক্সিকোতে বেশিরভাগ মানুষ নিজেরাই নিজেদের বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করে কিংবা সংস্কার করে। অনেক সময় দেখা যায়, ভবনের দেয়াল ভেঙ্গে সেখানে নতুন জানালা বসানো হচ্ছে কিংবা অন্য কিছু করা হচ্ছে। তারা নিজেদের পছন্দমতো ভবনের ভেতরে পরিবর্তন আনে। ফলে অনেক সময় সেটি ভবন তৈরির নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে না।

চতুর্থত, মেক্সিকো শহরে কিছু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলো ভূমিকম্প সহনীয়। এবারের ভূমিকম্পে মেক্সিকো সিটির ৫৭ তলা ভবনটি অক্ষত আছে। ত্রিকোণ আকৃতির এ ভবনটি ভূমিকম্পে নড়াচড়া করলেও ভেঙ্গে পড়েনি। অর্থাৎ ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে সেটি নড়াচড়া করবে, কিন্তু ভেঙ্গে পড়বে না। এমনকি ১৯৮৫ সালের ভূমিকম্পে মেক্সিকো শহরের দুটি সুউচ্চ ভবন একটি ৪৪ তলা এবং অন্যটি ৫৪ তলা। দুটি ভবনই ছিল অক্ষত।

প্রকৌশলী এবং স্থপতিরা বলছেন, ভূমিকম্পের জন্য সহনীয় করে ভবন তৈরি করলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

তারা আরো বলেন, কোন ভবনের ভিত্তি যদি গভীর এবং বিস্তৃত হয়, তাহলে সেটি ভূমিকম্প সহনীয় উঠে। কিন্তু ভিত্তি শুধু গভীর হলেই চলবে না। সেটি যদি শেষ পর্যন্ত শক্ত মাটি পর্যন্ত না পৌঁছায় তাহলে সেটি তেমন কোন কাজে আসবে না।

কোন ভবনের কাঠামোতে যদি পিলারের পাশাপাশি কংক্রিট দেয়াল থাকে তাহলে সেটি ভূমিকম্পের জন্য সহনীয় হয়। শুধু পিলারের উপর তৈরি করা ভবন ভূমিকম্পের জন্য সহনীয় নয়।

এপি/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বত
৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নিউইয়র্ক
তাইওয়ানে ভূমিকম্প : ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার 
X
Fresh