• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাড়িতে শৌচাগার না বানানোয় স্বামীকে ডিভোর্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২০ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৫

স্বামীকে বারবার বলা সত্ত্বেও বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ভারতের রাজস্থানে একটি পারিবারিক আদালত ২৪ বছরের এক গৃহবধূর আবেদন মেনে তার বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

ভিলওয়ারার ওই পারিবারিক আদালত আরো জানায় যে, বাড়িতে শৌচাগার না বানানোটা স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুরতারই সামিল।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, সারা ভারতে সম্ভবত এটিই প্রথম ঘটনা যেখানে বাড়িতে শৌচাগার না-থাকার কারণে আদালত কোনো দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদে সম্মতি দিলো ।
রাজস্থানের ওই মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। বিয়ের চার বছর বাদে তিনি আদালতে অভিযোগ করেন বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও তার স্বামী বাড়িতে শৌচাগার বা স্নানঘর বানিয়ে দিচ্ছেন না - যার ফলে মলত্যাগ বা স্নান করার জন্য তাকে বাইরে যেতে হচ্ছে।

আদালতে করা আবেদনে তিনি আরো জানান, বাইরে মলত্যাগ করতে যাওয়ার জন্য তাকে দিনের আলো পড়া বা সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যেটা তার আত্মমর্যাদার জন্য চরম অবমাননাকর বলে তিনি মনে করেন।
তবে তার স্বামী আদালতকে বলেন, স্ত্রীর এই দাবি তার মতে খুবই অস্বাভাবিক, কারণ তার গ্রামের বেশির ভাগ মহিলাই বাইরে প্রকাশ্য স্থানে মলত্যাগ করতে যান। তাদের যখন বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তখন তার স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকেও শৌচাগার বানানোর কথা বলা হয়নি বলে তিনি যুক্তি দেন।

কিন্তু আদালত মনে করেছে বাড়িতে শৌচাগার না-বানানোটা একজন মহিলার শালীনতা ও সম্ভ্রমের জন্য অত্যন্ত হানিকর এবং এই যুক্তিতেই মামলা দায়ের হওয়ার দু’বছরের মাথায় তারা এ বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছেন।

পারিবারিক আদালতের বিচারক আরো মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা মদ-সিগারেট, স্মার্টফোন - এমন অনেক কিছুর পেছনে খরচ করতে কোনো দ্বিধা করি না। কিন্তু পরিবারের সম্মান বাঁচায় যে শৌচাগার, সেটা বানাতেই আমাদের প্রবল অনীহা’।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেছেন, তাতেও দেশের প্রতিটি বাড়িতে নিজস্ব শৌচাগার বানানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে প্রতিটি পরিবারে শৌচাগার বানানোর জন্য মিলছে কিছুটা সরকারি ভর্তুকিও।

এপি /জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh