• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হিমাচলে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০৫

ভারতের হিমাচল প্রদেশে দু’টি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ । এ সময় যাত্রীবাহী সরকারি দুটি বাস মাটিচাপা পড়ে। এতে নিহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি’র।

ভারতের হিমাচল প্রদেশে বাস খাদে পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ । শনিবার যাত্রীবাহী দুটি সরকারি বাস মাটিচাপা পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার শেষ রাত পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলে। এতে নিহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি’র।

এ নিয়ে সোমবার কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি টুইটারে জানিয়েছেন সমবেদনা।

এনডিটিভি জানায়, হিমাচল প্রদেশে মান্দি-পাঠানকোট জাতীয় মহাসড়কে কোটপুরি নামক স্থানে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ভূমিধসে আরো কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে মোট ৪৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জনকে শনাক্ত করা গেছে। রোববার শেষ রাতের দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়। কারণ তখন আরো ভূমিধসের আশঙ্কা ছিল। তবে তা আজ সোমবার সকালে শুরু হওয়ার কথা। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক বাহিনীর টিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশ। মাটি সরিয়ে নেয়ার জন্য ভারি যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে সেখানে।

মাটির নিচে চাপা পড়া বাস দুটির ভেতর আটকা পড়া মানুষগুলোর অবস্থা কেউ বলতে পারছেন না। তবে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং।

তিনি বলেন, শেষ মৃতদেহটি উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন তিনি।

নিহতদের প্রতি পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাউল সিং ঠাকুর, পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী জিএস বালি, গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত বিষয়ক মন্ত্রী অনীল শর্মা।
ভয়াবহ এ ভূমিধসে ২৫০ মিটারেরও বেশি এলাকা ঢাকা পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কিছু বাড়িঘর। ঘটনার পর থেকে ওই মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এর দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।
হিমাচল প্রদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরিচালক ডি ডি শর্মা বলেছেন, অনেক মৃতদেহ বিকৃত হয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি টিমকে ডাকা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের পর থেকে হিমাচল প্রদেশে এটি বড় ধরনের তৃতীয় ঘটনা। ১৯৮৮ সালে শিমালয় ভূমিধসে একটি বাসের ৪৫ জন যাত্রী মারা যান। ১৯৯৪ সালে কুল্লুতে একই রকম ঘটনা ঘটে। সে সময় মারা যান ৪২ জন মানুষ।

এপি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh