ভাইয়ের ধর্ষণের অপরাধে সবার সামনে বোনকে ধর্ষণ
গ্রাম্য পঞ্চায়েতের সালিসিতে ভাইয়ের ধর্ষণের অপরাধে বোনকে ধর্ষণ করার আদেশ দেয়া হয়। তারপর পরিবারের চোখের সামনে খোলা পঞ্চায়েতি সভায় ধর্ষণ করা হয় এক কিশোরীকে।
ঘটনাটি পাকিস্তানের সবচে’বড় প্রদেশ পাঞ্জাবের মুলতান শহরের পাশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম রাজপুরে।
এ ঘটনার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের বরাতে বিবিসি জানায়, সভার ওই সিদ্ধান্তে দুই মেয়ের পরিবারও জড়িত ছিল।
ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবকের শাস্তির জন্য বসেছিল ওই সভা৷ ‘চোখের বদলে চোখ’ এই নীতিতেই বিশ্বাসী গ্রাম পঞ্চায়েত দোষীর শাস্তি হিসেবে সাজা দেন এক নিরপরাধীকে। ধর্ষিতার ভাইকেই অভিযুক্ত ভাইয়ের কিশোরী বোনকে সবার সামনেই ধর্ষণ করে প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ দেয় সালিশি সভা।
যেমন নির্দেশ, তেমন কাজ৷ পঞ্চায়েতের আদেশ শুনেই মেয়েটির পরিবার ও অভিযুক্ত ওমর ওয়াদ্দারের বোনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আশফাক৷ গ্রামের সবার সামনেই চলে কিশোরী নির্দোষ মেয়েটির ওপর যৌন নির্যাতন।
গেলা ১৮ জুলাই এ ঘটনা ঘটলেও পরে খবর পেয়ে মামলা করে পুলিশ৷ অভিযুক্ত আশফাক ও ওয়াদ্দারসহ এ অপরাধে বাধা না দিয়ে এমন নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকার জন্য রাজপুর গ্রামের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷
মুলতানের পুলিশ প্রধান এহসান ইউনিস জানিয়েছেন, রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আশফাকের কিশোরী বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওমর ওয়াদ্দারের বিরুদ্ধে৷ ঘটনার বিচার চাইতেই গ্রামে এমন সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। সেখানেই আক্রান্তের ভাইকে প্রতিশোধ নিতে বলা হয়।
এ ঘটনায় একটি রুল জারি করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে পাঞ্জাব পুলিশ প্রধানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ওয়াই/সি
মন্তব্য করুন