ভেনিজুয়েলায় সংবিধান সংশোধনের প্রতীকী নির্বাচন
ভোটের লাইনে দাঁড়ানো নারীকে গুলি করে হত্যা
সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে ভেনিজুয়েলায় ভোটের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, ৬১ বছরের ওই নারীকে মোটরবাইকে থেকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেশটি বিরোধী দলগুলো একতরফা এ গণভোটের আয়োজন করে। যাতে লোকজন ভোট দিয়ে তাদের মতামত জানান।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, ওই নারীকে দেশটির সরকারি ‘প্যারামিলিটারি বাহিনী’ গাংয়ের সদস্যরা হত্যা করেছে।
গেলো এপ্রিল থেকে সহিংস বিক্ষোভে এ নিয়ে ১০০ জন নিহত হলেন।
ক্ষমতাসীন দল সংবিধান সংশোধনের জন্য নতুন একটি সংসদ গঠন করতে পারে কি না, সেই ব্যাপারে জনমত যাচাই করাই এই ‘প্রতীকী’ গণভোটের উদ্দেশ্য।
এমন এক সময় এই গণভোট হচ্ছে যখন দেশটি এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে পতিত।
দ্রুতই জনপ্রিয়তা হারাতে থাকা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে প্রতিনিধি নির্বাচন হবার কথা।
এ উদ্যোগের বিরুদ্ধেই গণভোট যাতে ভোটারদের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছে যে আসলেই তারা একটি নতুন সংবিধান চান কী না? যদিও এ নির্বাচন পুরোপুরিই প্রতীকী।
বিরোধী দল বলছে, এর মাধ্যমে তারা জনগণের মতামত নিচ্ছে যে সরকারকে আসলেই সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে দেয়া যায় কী না।
গেলো মাসের শেষে দিকে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ওপর হেলিকপ্টার থেকে বন্দুক ও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা হেলিকপ্টার ছিনতাই করে এই হামলা চালান।
নিকোলাস মাদুরু গেলো কিছুদিন ধরেই বেশ রাজনৈতিক চাপের মুখে আছেন।
হামলার পর তিনি জানিয়েছেন, শান্তি বজায় রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনিকে 'সক্রিয়' করা হয়েছে।
এর আগে তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে ভেনিজুয়েলার বিপ্লব যদি বিপন্ন হয় প্রয়োজনে অস্ত্র দিয়ে তা রক্ষা করা হবে।
তবে প্রেসিডেন্টের এই বার্তাকে দেশটির বিরোধী দলগুলো তাদের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে।
ওয়াই/
মন্তব্য করুন