• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করলো সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৬ জুন ২০১৭, ১৩:৩০

সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার রাজধানী রিয়াদ থেকে কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করলো সৌদি আরব।

সৌদি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, টেলিভিশনটি দেশটির সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।

যদিও আল-জাজিরা বলছে, তারা বরাবরের মতোই স্বাধীনভাবে সবার কাছে সত্য সংবাদটি পৌঁছে দিতে কাজ করে আসছিল।

এর আগে সৌদির সঙ্গে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, মিশর, লিবিয়া ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে।

এরইমধ্যে বিমান, নৌ ও স্থলপথে কাতারের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর ও আমিরাত।

দেশগুলোর দাবি, আল কায়দা ও আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীদের মদদ দিচ্ছে কাতার।

শুধু তাই নয়, ইয়েমেনে হুথি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে কাতারকে।

তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে কাতার। সাম্প্রতিককালে আরব বিশ্বে এমন রাজনৈতিক সঙ্কট আসেনি বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

বেশকিছু দিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল কাতার এবং সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর। কূটনীতিকদের মতে সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনে ইরানের প্রভাব বাড়ায় উদ্বিগ্ন সৌদি আরব।

ইয়েমেনের শিয়া হুথি জঙ্গিদেরও সমর্থন করছে ইরান। সম্প্রতি সৌদি আরবসহ সুন্নি আরব দেশগুলোকে নিয়ে ইরান ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা।

কিন্তু সুন্নি দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতারের সরকার ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার পথ খুঁজছিল।

সম্প্রতি কাতারের আমির শেখ তামিম আল হামাদ আল ঠানির বিবৃতি প্রকাশিত হয় সরকারি এ সংবাদ সংস্থায়। তাতে ইরানকে ‘ইসলামি শক্তি’হিসেবে বর্ণনা করেন শেখ তামিম। এসময় তেহরানের প্রতি মার্কিন নীতির সমালোচনাও করেন।

পরে অবশ্য কাতার দাবি করে, আমির ওই বিবৃতি দেননি। তাদের সরকারি সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু সে কথা মানতে রাজি হয়নি অন্য আরব দেশগুলো। ফলে কাতারের সঙ্গে ওই দেশগুলোর দূরত্ব বাড়ছিল। আল-জাজিরাসহ কাতার থেকে সম্প্রচার হওয়া অনেক চ্যানেল নিষিদ্ধ করে দেয় অন্য আরব দেশগুলোর সরকার।

কূটনীতিকদের মতে, সম্প্রতি রিয়াদে গিয়ে সুন্নি আরব দেশগুলোর জোট গ়ড়ার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তারপরেই সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলো কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কড়াবার্তা দিতে চেয়েছে।

কাতারের কূটনীতিক ও নাগরিকদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত। ওই দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের সীমান্ত রয়েছে। সে সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে রিয়াদ।

কাতারগামী বিমানও বন্ধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থা এমিরেটস ও ইতিহাদ। জলপথেও কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব আমিরাত ও বাহরাইন।

আরব দেশগুলোর মতভেদ দূর করার জন্য ওয়াশিংটন সাহায্য করতে চায় বলে জানিয়েছেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন সুন্নি আরব দেশ কাতারকে কড়া বার্তা দেয়ার পেছনে আমেরিকার পরোক্ষ মদদ থাকতে পারে। কারণ পশ্চিম এশিয়ায় ইরানপন্থী কোনো সুরকে বরদাস্ত করতে রাজি নয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

কিন্তু কাতারও আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ। সেখানে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। ওই ঘাঁটি থেকে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে আমেরিকা।

তাই সে দেশটি আরব জগতে একেবারে এক ঘরে হয়ে পড়ুক তাও চায় না ওয়াশিংটন। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের সুন্নি আরব জোট গড়ার স্বপ্নও ধাক্কা খাবে।

ওয়াই/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সৌদিতে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট
রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
ইসরায়েলকে সহায়তা প্রসঙ্গে যা জানাল সৌদি আরব
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
X
Fresh