• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে সত্যাগ্রহের ইতিহাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ মে ২০১৭, ১৬:৪৯

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এবার ইতিহাসের পাঠ্যক্রম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩ বছরের স্নাতক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের এখন এমন একটি পেপারে পরীক্ষা দিতে হবে যাতে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস, গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন যেমন থাকবে তেমনই থাকবে ষাটের দশকে মার্টিন লুথার কিং এর সিভিল রাইটস মুভমেন্টের ইতিহাসও।

আসছে শরৎকালীন সেমিস্টারেই শুরু হতে চলেছে এ নতুন পাঠ্যক্রম। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এতো বছরের পুরনো পাঠ্যক্রমে আচমকা এ বদলের সিদ্ধান্ত কেন? নেপথ্যের কারণটাই বা কি? অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে অন্য এক ইতিহাস। কয়েক বছর ধরেই ‘হোয়াই ইজ মাই কারিকুলাম হোয়াইট’ নামে প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে অক্সফোর্ড-সহ ব্রিটেনের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অক্সফোর্ডেরই ওরিয়েল কলেজ কর্তৃপক্ষ একবার সেসিল রোডসের একটি মূর্তি সরাতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ঔপনিবেশিকতা আর সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক রোডসের মূর্তি কেন সরানো হবে না, সে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

তারাই প্রশ্ন তোলেন, ‘হোয়াই ইজ মাই কারিকুলাম হোয়াইট’। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে শুধুই কেন ঔপনিবেশিক আর সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস পড়ানো হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়াদের একাংশ। ‘রোডস মাস্ট ফল’ নামে প্রতিবাদ কর্মসূচিও গড়ে তোলেন তারা। দেরিতে হলেও সেই আন্দোলনের প্রভাবেই অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রধান মার্টিন কনওয়ে বললেন, পাঠ্যক্রমে বৈচিত্র আনতেই এ সিদ্ধান্ত। শিক্ষক তো বটেই, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্টিন।

অক্সফোর্ডের দেখাদেখি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ইতিহাসের পাঠ্যক্রম বদলানো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। লিডসে এরই মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কথা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘পাঠ্যক্রমে বৈচিত্র আনতে সব রকমের পরামর্শকেই আমরা স্বাগত জানাই।’

এপি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh