সিগারেট নিয়ে বিরল কিছু পেইন্টিং নিলামে

ব্রিটেনের নটিংহ্যাম শহরে ইমপেরিয়াল টোব্যাকোর যে কারখানাটি ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় তার পাঁচতলা ভবনের দেয়ালে দেয়ালে ঝোলানো আছে সিগারেট নিয়ে পুরনো বিরল সব তৈলচিত্র। এবার সেগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে।

জানা গেছে, এসব ছবির ফটো একসময় ইমপেরিয়াল টোব্যাকোর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু মূল ছবিগুলো কখনো প্রদর্শিত হয়নি। এ ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে- মহিলারা খুব তৃপ্তির সঙ্গে ধূমপান করছেন। আর এমন ছবিও আঁকা হয়েছে যেখানে শিশুরা সিগারেট নিয়ে খেলা করছে।

বর্তমান সময়ে এমনসব ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়া তো দূরে থাক, আঁকার কথাও কোনো শিল্পী ভাববেনই না। কিন্তু এসব ছবি ইমপেরিয়াল টোব্যাকো সেসময় হরহামেশাই বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। কারণ ১৯৫০ এর দশকের আগে ধূমপানের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল খুবই কম।

ব্রিটেনের ব্র্যান্ড, প্যাকেজিং ও বিজ্ঞাপন বিষয়ক যাদুঘরের পরিচালক রবার্ট অপি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সিগারেটের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা ছিল না।’

১৯২০ ও ৩০ এর দশকে বড় বড় চলচ্চিত্র তারকারা পর্দায় সিগারেট খেতেন এবং তাদের দেখাদেখি নারী-পুরুষ তাদের মর্যাদা বাড়াতে ধূমপানে আকৃষ্ট হতেন। ওই সময়টাতে সুন্দরী মহিলা থেকে শুরু করে খেলাধুলোর জগতের তারকা, এমনকি শিশুদেরও সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হতো। কাস্টার্ড, টফি বা বিস্কিটের বিজ্ঞাপনে যেমন ব্যবহার করা হতো, সিগারেটের ক্ষেত্রেও হতো- জানান তিনি।

১৯৩০ এর দশকে ইমপেরিয়াল টোব্যাকো দিনে ১০ লাখেরও বেশি সিগারেট বানাতো। প্রায় ৭ হাজার লোক কাজ করতো তাদের কারখানায়। দশকের পর দশক ধরে ইমপেরিয়াল নটিংহ্যাম শহরের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় জায়গা ছিল। তবে সিগারেট নিয়ে আঁকা দুর্লভ এসব ছবির দাম কত উঠতে পারে তা জানানো হয়নি।

বর্তমানে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা এতোটাই বেড়েছে তৎকালীন আমলের এমন বিজ্ঞাপন ভাবাই যায় না।

এপি/সি