ক্যান্সারকে অলৌকিকভাবে জয় করলো 'বিস্ময়কর শিশু'
ব্লু টবিনের বয়স যখন দুই বছর তখন তার শরীরে মারাত্মক ক্যান্সার শনাক্ত করে চিকিৎসকরা। তারা শেষ কথা বলে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানালেন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র দশভাগ। বেঁচে থাকার কোন আশা না থাকায় ব্লু টবিনকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
কয়েকদিন পর চিকিৎসকরা জানালেন, তারা একটি শেষ চেষ্টা করতে পারেন। ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা দুই বছর বয়সী ব্লুটবিনের শরীরে এমন এক ধরনের উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করা হবে যেটি তার বয়সী কোন শিশুর শরীরে আগে কখনো দেয়া হয়নি।
এ ওষুধ প্রয়োগ করলে হয়তো সে কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে, আবার মৃত্যুও হতে পারে। অনেক ভেবে চিন্তে ব্লু টবিনের মা-বাবা সে ওষুধ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে সে ওষুধ ব্লু টবিনের শরীরে কাজ করা শুরু করলো।
একটা সময় এসে তার শরীরে থাকা ক্যান্সারের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে গেলো। চিকিৎসকরা তাকে ক্যান্সার মুক্ত ঘোষণা করলেন। ব্লুটবিন কয়েকদিন আগে লন্ডনের বিখ্যাত ক্যান্সার হাসপাতাল রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে এসেছিল।
সেখানে এসে সে ক্যান্সার বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘণ্টা বাজালো। ব্লুটবিনকে এখন চিকিৎসকরা 'বিস্ময়কর শিশু' হিসেবে অভিহিত করেন।
ক্যান্সার থেকে তার সেরে উঠা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ব্লু টবিনের শরীরে যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেটি বেশ ব্যয়বহুল ছিল।
সে ওষুধ নিয়ে গবেষণার জন্য অনেকেই অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মাইক পর্টার বলেন, আমি তাকে ‘বিস্ময় শিশু’ বলে ডাকি। গেলো ২৫ বছরে এ ধরনের কোন ক্যান্সার রোগী দেখিনি যে শেষ পর্যায়ে গিয়েও আবার সুস্থ হয়েছে।
ব্লু টবিনের মা-বাবা এবং চিকিৎসকরা বলছেন যেভাবে সে বেঁচে উঠেছে সেটা তার 'দ্বিতীয় জন্মের' মতো। বড় হয়ে একজন সংগীত শিল্পী হতে চায় ব্লুটবিন। তার এ 'দ্বিতীয় জন্মে' সে গান ও সুরের মাধ্যমে মানুষকে মাতিয়ে রাখতে চায়।
ওয়াই/এমকে
মন্তব্য করুন