• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শনিবার ১শ’তে পৌঁছাবেন ট্রাম্প

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:২২

আসছে শনিবার ২৯ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১শ’ দিনে পা দেবেন। এ ১শ’ দিনে কী কী করবেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তার বিরাট তালিকা দিয়েছিলেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে ১শ’ দিনের কর্মসূচি প্রকাশ করে বলেছিলেন, এটাই হবে আমেরিকার জনগণের সঙ্গে তার চুক্তি।

এমনটি বললেও ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা ও সিবিএস টিভি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্লেষণে দাবি করেছে সেই তালিকার প্রতিশ্রুতিগুলোর কার্যত কোনো কিছুই অর্জিত হয়নি। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি। একজন রক্ষণশীল বিচারপতির নিয়োগ চূড়ান্ত করার বাইরে কংগ্রেসেও ট্রাম্পের অন্য কোনো সাফল্য নেই।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যদিও দাবি করেছেন, তার দেয়া প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই অর্জিত হয়েছে বা হবার পথে। তবে এতে ট্রাম্প এও স্বীকার করেছেন, দেশ শাসন যে এতটা কঠিন ও জটিল, তা তার জানা ছিল না। স্বাস্থ্যবিমা বা ন্যাটোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট হবার আগে তিনি বিশেষ কিছুই জানতেন না।

এদিকে ট্রাম্পের এ ব্যর্থতার ছাপ পড়েছে তার জনসমর্থনে। ১শ’ দিন পূর্ণ হবার আগে ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের গৃহীত এক জাতীয় জনমত জরিপ অনুসারে এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের কাজে সন্তুষ্ট এমন মার্কিনির সংখ্যা মাত্র ৪২ শতাংশ। আর সন্তুষ্ট নন এমন লোকের সংখ্যা ৫৩ শতাংশ। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও এনবিসি নিউজের গৃহীত আরেকটি জরিপ অনুসারে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন রয়েছে এমন নাগরিকের সংখ্যা আরও কম মাত্র ৪০ শতাংশ।

১শ’ দিন এগিয়ে আসছে, অথচ দেখানোর মতো কোনো সাফল্য তার নেই, এ কথা ট্রাম্প খুব ভালো করে জানেন বলেই রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যের কাছে ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিত স্বাস্থ্যবিমা আইন দ্রুত বাতিল করার দাবি করেছেন। নিজ দলের ভেতরই সমর্থনের অভাবে একবার সে চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এবার তিনি আশা করছেন, বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা তাকে সে কাজে সাহায্য করবে, কিন্তু সেটি খুবই অবাস্তব পরিকল্পনা। ডেমোক্রেটিক নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওবামাকেয়ার বাতিল হয় এমন কোনো কাজই তারা সমর্থন করবেন না।

এ ছাড়া ট্রাম্প এ ১শ’ দিনের মধ্যেই আয়কর আইন নতুন করে প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান স্পিকার অবশ্য বলেছেন, এ মুহূর্তে তার প্রধান চিন্তা ফেডারেল সরকারের কাজ চালু রাখতে নতুন ব্যয় বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া। শুক্রবারের মধ্যে এ ব্যয় বরাদ্দ গৃহীত না হলে ফেডারেল সরকারের অধিকাংশ কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রাম্প সে কথা জেনেও শর্ত দিয়েছেন, এ ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাবে মেক্সিকো সীমান্তে তার প্রস্তাবিত দেয়ালের জন্য দেড় শ’ কোটি ডলার রাখতে হবে।

রিপাবলিকান নেতৃত্বের ভয়, হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হলে দায়ভার তাদের ওপরই বর্তাবে। যার প্রভাব পড়তে পারে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে।

এপি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh