• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ম্যাক্রন ও লে পেন (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৪৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আসছে ৭ মে মুখোমুখি হবেন নির্দলীয় মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং উগ্র-ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির মেরিন লে পেন। তবে প্রথম ধাপে বেশি ভোট পাওয়ায় ফেভারিট ভাবা হচ্ছে ম্যাক্রনকেই। এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনিই হবেন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট।

রোববার নির্বাচনের প্রথম ধাপে শীর্ষ ভোট পেয়ে জয়ী হন ইমানুয়েল ম্যাক্রন (২৩.৮০ শতাংশ) ও মেরিন লে পেন (২১.০৬ শতাংশ)। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা) ৯২ শতাংশ ব্যালট গণনার তথ্য প্রকাশিত হয়।

ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দু’প্রার্থী। এ নিয়মেই দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও মেরিন লে পেন।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানাতে ম্যাক্রনকে ডেকেছেন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল শুভকামনা জানিয়েছেন তার প্রতি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও এসেছে প্রশংসা। ডানপন্থী রিপাবলিকান পার্টির নেতা ফ্রাঁসোয়া ফিলন নির্বাচনে আগেভাগে পরাজয় স্বীকার করে ম্যাক্রনকে ভোট দিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।

সাবেক ব্যাংকার ইমানুয়েল ম্যাক্রন গেলো বছর আগস্টে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজেই আলাদাভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। জয়ের পর সমর্থকদের উদ্দেশে ৩৯ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারাই নতুনত্বের মুখ, ফরাসি আশার নতুন মুখ। ফ্রান্সের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় চালুর চ্যালেঞ্জ এসেছে। গেলো এক বছরে ফরাসি রাজনীতির অবয়ব বদলে ফেলেছি আমরা। এবারের ভোটে ফরাসিরা পরিবর্তনের ইচ্ছাই প্রকাশ করেছে। পরিবর্তন, সুরক্ষা ও মানুষকে সহযোগিতা করতে আমি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হবো। ’

ইমানুয়েল ম্যাক্রন ব্যক্তিগতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষাবলম্বী। তিনি নিজেকে ‘ডান’ বা ‘বাম’ বলতে অস্বীকার করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ মেরিন লে পেন ৬৯ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির হয়ে গড়েছেন নতুন রেকর্ড। তাই আগেভাগেই ম্যাক্রনকে প্রেসিডেন্ট ধরে নেওয়াটা হবে বোকামি। নিজেকে জনগণের প্রার্থী উল্লেখ করে ৪৮ বছরের লে পেন বলেছেন, ‘এ ফলাফল ঐতিহাসিক। ফ্রান্সকে মুক্ত করার পথে প্রথম ধাপ উতরে গিয়েছি আমরা।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ডানপন্থী রিপাবলিকান পার্টির নেতা ফ্রাঁসোয়া ফিলন ২০ শতাংশ এবং ফ্রান্সের কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত কট্টর বামপন্থী জ্যঁ-লুক মেলেঁকন পেয়েছেন ১৯.৫০ শতাংশ ভোট। অন্য সাত প্রার্থীর মধ্যে ছিলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির বেনয় হ্যামন, দু’ট্রটস্কিবাদী, তিন উগ্র-জাতীয়তাবাদী এবং এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে ভোটের ফল দেখে উগ্র-বামপন্থী বিক্ষোভকারীরা গাড়ি পুড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের অনেকে লাল পতাকা নিয়ে স্লোগান দেয়- ‘নো মেরিন এবং নো ম্যাক্রন’। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ফ্রান্সজুড়ে ৬০ হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়।

এপি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh